‘গণমানুষের হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন নেতাজি সুভাষ বসু’
প্রকাশিত : ১০:৪৩, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১০:৪৪, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবনাদর্শ, রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-ভাবনা আজও স্মরণীয়। তার কর্মময় জীবনকে ধারণ করে এগিয়ে চললে মানুষের মধ্যে বিভেদ থাকবে না। তিনি আজও গণমানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নড়াইলে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৭তম জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভায় একথা বলেন আলোচকরা।
যুবা সংঘ ক্লাবের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নড়াইল জেলা সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মলয় নন্দী। প্রধান আলোচক ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ তরিকুল ইসলাম।
আইনজীবী শেখ তরিকুল ইসলাম বলেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবনাদর্শ, রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-ভাবনা আজও স্মরণীয়। তার কর্মময় জীবনকে ধারণ করে এগিয়ে চললে মানুষের মধ্যে বিভেদ থাকবে না। সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমাজ গড়ে উঠবে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, আন্দোলন-সংগ্রাম, রাজনৈতিক দর্শন ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-ভাবনার মিল রয়েছে।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুর দিনক্ষণ নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে। তবে তার মৃত্যু যখন যেভাবেই হোক না কেন, তিনি আজও গণমানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন বলে মন্তব্য করেন প্রধান আলোচক অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম।
অ্যাডভোকেট পরিতোষ বাগচীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিকাশ কুমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এস এ মতিন, সোনালী দিন পত্রিকার সম্পাদক নজরুল গবেষক এইচ এম সিরাজ, নড়াইল পৌরসভার সাবেক কমিশনার কল্যাণ মুখার্জি, সহকারী অধ্যাপক সসীম সরকার, সাংবাদিক সাথী তালুকদার, নড়াইল সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক নিখিল কুমার সরকার, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিবেকানন্দ বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান ভগীরত চন্দ্র বিশ্বাস, যুবা সংঘ ক্লাবের সভাপতি গণেশ চন্দ্র অধিকারী, সহ-সভাপতি উৎপল বাগচী, স্কুল শিক্ষক সন্দীপ বাগচী, ব্যবসায়ী এস এম আরিফুজ্জামান, প্রণব বিশ্বাসসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানস্থলে বঙ্গবন্ধু, নেতাজি সুভাষ বসু, বীরশ্রেষ্ঠ ও ভাষাসৈনিকদের ছবিসহ দেশ-বিদেশের গুণী মানুষদের ছবি এবং পরিচিতি প্রদর্শন করা হয়। শতাধিক ছবির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম খ্যাতিমান ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত বাংলা প্রদেশের ওড়িষা রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন তার বাবা-মায়ের ১৪ সন্তানের মধ্যে নবম সন্তান।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের চিরস্মরণীয় নেতা সুভাষ চন্দ্র বসু। তিনি ‘নেতাজি’ নামে সমধিক পরিচিত। সুভাষ চন্দ্র পরপর দুইবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত, কংগ্রেসের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা এবং বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করায় তাকে পদত্যাগ করতে হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন