দুর্নীতিতে জর্জরিত চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
প্রকাশিত : ২১:৩৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩
গরীব রোগীরা যাতে বিনাচিকিৎসায় মারা না যায়, স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা পায়- এই মহৎ উদ্দেশে চট্টগ্রাম শহরে খুলশি’র জাকির হোসেন রোডে সরকারি জায়গায় স্থাপিত হয় চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল। কিন্তু বাস্তবে উদ্দেশ্য ও নীতি-আদর্শের বিপরীতে হাঁটছে হাসপাতালটি।
গেল একদশক ধরে এটি বাণিজ্যিক হাসপাতাল হিসেবে চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি এমনই যে, ডায়াবেটিক হাসপাতালটি নিজেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
রোগীসেবার নামে বিভিন্ন তরফ থেকে কোটি কোটি টাকা আসলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না ডায়াবেটিস-রোগীরা। এখানে আইসিইউ/সিসিইউ/এইচডিইউ বিভাগ থাকলেও কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই।
এ হাসপাতালের পরিচালক চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি হলেও তা কাগজে কলমে। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির একচ্ছত্র ক্ষমতা ব্যক্তিবিশেষের হাতে কুক্ষিগত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বেশকিছু অভিযোগ পাওয়ার পর গত ২১জুলাই ২০২২ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এর দুমাস পর ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে তদন্তকাজ শুরু করে ইতোমধ্যে তা শেষ করা করেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন গত ১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম বরাবরে জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়া অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক সাখাওয়াত উল্লাহ বরাবরে চলতি বছর অভিযোগ করা হলে তিনি চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীকে আহবায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালে এস এইচ আর শিপিং কোম্পানি ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক দানকৃত দুটি অ্যাম্বুলেন্স আছে। অভিযোগ উঠেছে অ্যাম্বুলেন্স দুটি হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিরা ব্যবহার করেন। অথচ রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের তেমনএকটা রেকর্ড নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হাসপাতালে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগেরও অভিযোগ রয়েছে।
এসবি/
আরও পড়ুন