অপহরণ-হত্যা বাড়ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১১:২০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কক্সবাজারের ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা জড়িয়ে পড়ছেন মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। ৫ বছরে ক্যাম্পগুলোতে ঘটেছে দেড়শটি হত্যাকান্ডসহ দুইশ’র বেশি অপহরণের ঘটনা। গেল চার মাসেই অপহরণ করা হয়েছে ৫২ জনকে। এতে চরম আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় অপহরণ এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্তত ১০টি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের তথ্য মতে, গেল চার মাসে টেকনাফ থেকেই অপহরণ করা হয়েছে ৫২ জনকে। খুনোখুনি, গোলাগুলিসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, “পাহাড়ের ক্ষেত-খামারে যে কাজ করতে যায় তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে রোহিঙ্গারা। গুম-খুনের হিড়িক চলছে। ভয়াবহ একটা রূপ ধারণ করেছে। যে কোনো সময়ে যে কেউ অপহরণ হতে পারেন।”
সূত্র মতে, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ’টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে অপহরণ করা হয়েছে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিসহ দুইশ’রও বেশি জনকে।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ৪ চার বাংলাদেশি কৃষককে অপহরণ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। পরে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান তারা।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন খুনাখুনি-অপহরণের ঘটনা ঘটছে। এরকম অবস্থা থাকলে দু’এক বছরের মধ্যে জনগণ পালিয়ে অন্য স্থানে চলে যাবে।”
দেড় বছর আগে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পাহাড়ে আশ্রয় নেয় সন্ত্রাসীরা। পুলিশ বলছে, অর্থের যোগান দিতে অপহরণ বাণিজ্যে নেমেছে এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুল ইসলাম বলেন, “ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তাদের আস্তানা ধ্বংস এবং ভিকটিমদের উদ্ধার করা হয়েছে “
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
র্যাব মিডিয়া প্রধান খন্দকার আল মঈন বলেন, “শান্তিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছি।”
পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এপর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে ৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই হাজার মামলা হয়েছে। একই সময়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৭৬টি অস্ত্র।
এএইচ
আরও পড়ুন