আস্থায় ফিরছে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
প্রকাশিত : ১৩:১২, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা সেবাখাত। উন্নত চিকিৎসাসেবা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আস্থায় ফিরতে শুরু করেছে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। নতুন করে এখানে স্থাপন করা হয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্যান্ট, চালু করা হয়েছে অত্যাধুনিক আইভিশন ও এনসিডি কর্নার। এছাড়া যুক্ত করা হয়েছে জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার শনাক্তে ডিআইও বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের কয়েকটি কক্ষ আধুনিক মানের করে গড়ে তোলা হয়েছে। নতুন একটি কক্ষে ৩৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। এখান থেকে ৫২টি বেড়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে।
এছাড়া উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে জাইকার সহযোগিতায় যুক্ত করা হয়েছে ওয়ার্মার, কার্ডিয়াক মনিটর ওটি লাইট, লেবার বেড, হ্যান্ড ল্যাম্প, হুইল চেয়ার, ইসিজি ও সাকার মেশিন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এক্স-রে মেশিন ও অস্ত্রোপচার কার্যক্রমও চালু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আনা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। রয়েছে সার্বক্ষণিক জেনারেটর সার্ভিস, দুটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স, গভীর নলকূপ।
সংযোজন করা হয়েছে শিশুওয়ার্ড, জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য ভিআইএ পরীক্ষা বিভাগ। ভিআইএ পরীক্ষা বিভাগে উন্নতমানের মেশিনে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো নারী ৫ বছর পর পর পরীক্ষা করতে পারবেন।
মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিমের আওতায় গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রতি মাসে উপজেলার ৩শ’ হতদরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের বিনা খরচে নরমাল ও সিজারিয়ান ডেলিভারি প্রকল্প চালু আছে। আইভিশন কর্নারে চক্ষু পরীক্ষা করে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়।
এছাড়াও এনসিডি কর্নারে উচ্চ রক্তচাপ পরিমাপ, ডায়াবেটিস, হার্ট ও অ্যাজমা রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ১ মাসের ওষুধ প্রদান, ২৪ ঘন্টাই জরুরি বিভাগ, প্যাথলজি সেবা, বিনামূল্যে ৯৭ প্রকারের ওষুধ-ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়।
আবুরহাট এলাকার গৃহবধূ তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘একসময় নিয়মিত চিকিৎসক ও ওষুধ পাওয়া যেত না। এখন পর্যাপ্ত চিকিৎসক রয়েছেন, আমরাও আধুনিক ও উন্নত সেবা পাচ্ছি। বিনামূল্যে ওষুধও দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুমন ঘোষ পল্লব জানান, প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা শিশু, নারীসহ হাজারো রোগীকে আমরা যত্ন সহকারে চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করছি।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও বিভিন্ন উন্নতমানের রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র প্রচার না থাকার কারণে বেসরকারি হাসপাতালের দিকে ছুটেন রোগীরা। এতে করে গরিব রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন লাভবান হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো।
এএইচ
আরও পড়ুন