ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০০:৩৩, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

চাঁদা না দেওয়ায় নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দোকানী মো. গোলাম মোস্তফা (৪০) হত্যা মামলার ঘটনায় ১৮ বছর পর মো. আ. মান্নান (৬৫) ও তার ছেলে মো. সোহেলকে (৩৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ছেলে মো. সোহেল উপস্থিত থাকলেও বাবা মো. আ: মান্নান পলাতক ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাজাতপুর গ্রামের মৃত সেকান্দর মিয়ার ছেলে মো. আবদুল মান্নান ও আবদুল মান্নানের ছেলে মো. সোহেল।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৯ জুলাই রাত ১০ টার দিকে গোলাম মোস্তফা তার জনতা বেকারিতে আয় ব্যয়ের হিসাব করছেন। এসময় আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক জখম করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার জন্য আসামিরা শ্বাসরোধ করে। এসময় নিহতের ছেলে জুয়েল ও কর্মচারী জসিম বাঁচানোর চেষ্টা করলেও আসামিদের বাঁধার মুখে এগিয়ে আসতে পারে নি। এরপর দোকান থেকে এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান। এরপর নিহতের ছেলে নুর উদ্দিন জুয়েল হত্যা মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ ১৮ বছর পর ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলার রায় দেন।  

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, পূর্বে চাঁদা দাবি করে আসামিরা। টাকা না দেওয়ায় হামলা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লুট করে টাকা নিয়ে যায়। নিহতের ছেলে বাদি হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, বাবা মান্নান ও ছেলে মো. সোহেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি