আটকের পর ভূমি অফিসের এক নারীর মৃত্যু
প্রকাশিত : ০৯:৪৩, ২৭ মার্চ ২০২৩
নওগাঁয় র্যাবের হাতে আটকের পর সুলতানা জেসমিন নামে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে।
গত ২২ মার্চ আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর ২৫ মার্চ শনিবার দুপুরের দিকে সুলতানার মরদেহ বুঝে পায় তার পরিবার।
সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।
ঘটনার বিষয়ে জেসমিনের ভাই সোহাগ ও তার ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে অফিস করার জন্য বাসা থেকে বের হন জেসমিন। দুপুরের দিকে লোক মারফত তারা জানতে পারেন র্যাবের লোকজন জেসমিনকে আটক করেছে। এরপর অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে তাকে রাজশাহী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তারা আরও জানান মৃত্যুর একদিন পর নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের মামা ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক মন্টু বলেন, নওগাঁ শহরের জনকল্যাণ এলাকায় একটা ভাড়া বাসায় থাকতো জেসমিন। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি প্রায় ১৭ বছর আগে। তার এক সন্তান রয়েছে। অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে সন্তানকে লালন-পালন করে আসছিল জেসমিন। এরআগে কোনো দিন তার বিরদ্ধে কোনো দুর্নীতি কিংবা অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায়নি বলেও জানান তিনি।
আটকের বিষয়ে রাজশাহী র্যাব-৫ এর কোম্পানী কমান্ডার সিপিএসসি মেজর নাজমুস সাকিব বলেন, একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক করা হয়েছিল সুলতানাকে। আটকের পরপরই তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে রাজশাহী নেয়া হয়।
সেখানে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয় এবং গত শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয় বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
তবে কি কারণে তাকে আটক করা হয় জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রতারনার একটি অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। তার ব্যাংক হিসাবের লেনদেনেও বিষয়টি পাওয়া যায়। তবে তাকে র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
এএইচ
আরও পড়ুন