ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, টানা ৯ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:১০, ১১ এপ্রিল ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি তাপদাহ বয়ে চলেছে। টানা এক সপ্তাহের বেশি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়।  রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে প্রকৃতি। সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় তাপ থাকছে একই মাত্রায়। 

সকাল থেকেই আগুন ঝরায় সূর্য। গাছের সবুজ পাতাগুলো যেন একচুলও নড়ে না। তীব্র তাপে উষ্ণ হয়ে উঠেছে বায়ুমণ্ডল। 

প্রকৃতি যেন তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে, ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও এক চিলতে স্বস্তি নেই। টানা তাপপ্রবাহে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যেন একেবারেই অচল হয়ে পড়েছে। দুপুর গড়াতেই প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে মাঠ-ঘাট ফাঁকা হয়ে পড়ছে। পথচারীরা গাছের ছায়া পেলেই একটু বিশ্রাম  নিচ্ছেন। 

মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও এখন হাঁসফাঁস করছে। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এরপর ৩ থেকে ৯ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার জায়গাটি দখলে রেখেছে চুয়াডাঙ্গা।

জানা গেছে, ৩ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ৪ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৭ এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৮ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৯ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় মার্চ ও এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। সাধারণত প্রতিবছর এ মৌসুমে কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়ে থাকে। এ বছর এখন পর্যন্ত সে ধরনের পরিস্থিতি হয়নি। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় মার্চে গড় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এপ্রিলে তাপমাত্রা আরও বেড়েছে।

এদিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষ জরুরি কাজ না থাকলে তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। এর প্রভাব পড়েছে পয়লা বৈশাখ ও ঈদের বাজারে। শহরের সমবায় নিউমার্কেটের তৈরি পোশাক বিক্রেতা তারা হুশিয়ারীর মালিক খন্দকার আবুল বলেন, এক সপ্তাহ ধরে গরমের কারণে দিনের বেলায় তেমন ক্রেতার দেখা মিলছে না। সন্ধ্যার পর ক্রেতা কিছুটা বাড়ে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি