ঢাকা, শনিবার   ১৫ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ক্যাম্পে নয়, নিজেদের ভিটায় ফিরতে চায় রোহিঙ্গারা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:১৫, ৬ মে ২০২৩ | আপডেট: ১০:১৭, ৬ মে ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহর ঘুরে এসে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, নাগরিকত্ব, নিজেদের ভিটে মাটি এবং চলাফেরার স্বাধীনতা দিলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে। রোহিঙ্গারা কোন ক্যাম্পে নয় নিজেদের ভিটে বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে গণমাধ্যমের সঙ্গে এই মতামত ব্যক্ত করেন দুজন রোহিঙ্গা নেতা। 

তবে সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতা শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, রাখাইনের মংডু শহর ও গ্রামের পরিবেশ এখন অনেক ভালো। মংডু শহরে অধিকাংশ রোহিঙ্গা কাজকর্ম করছে, ঘুরছে অবাধে। রোহিঙ্গা সমস্যাটা দীর্ঘদিনের, রোহিঙ্গাদের টেকসই এবং মর্যাদার ভিত্তিতে প্রত্যাবাশন করতে চায় বাংলাদেশ।

তবে মংডু শহরের পরিবেশ একটু ভালো হলেও গ্রামের পরিবেশে তারা সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা।

মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ দেখে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজারের টেকনাফে ফিরে আসে ২০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলসহ বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। 

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতি দেখতে ২৭ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট ঘাট দিয়ে নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারের মংডু গিয়েছিলেন। 

প্রতিনিধিদলে রয়েছে ২০ জন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা। এছাড়া আরও ৭ জন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।  প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাও ছিলেন। 

টেকনাফে ট্রানজিট ঘাটে পৌঁছে প্রতিনিধি দল মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। এসময় রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ সুফিয়ান জানান, আমার বাড়ির ভিটায় একটা ক্যাম্প করা হয়েছে। আমরা এই ক্যাম্পে নয়, নিজের ভিটা মাটিতে ফিরতে চাই। আমাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। 

মিয়ানমারে যাওয়ার জন্য টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা, নয়াপাড়া ও জাদিমুড়া এলাকায় অবস্থিত ২৪, ২৬ ও ২৭ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত ২০ জন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাকে বাছাই করা হয়েছে। 

এর আগে ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। তারা বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাছাই-বাছাই করেন।

প্রতিনিধিদলটি টানা সাতদিন টেকনাফের স্থলবন্দর রেস্ট হাউজে অবস্থান করে বাংলাদেশে আশ্রিত ১৪৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। আর তাদের দেওয়া বক্তব্য রেকর্ড করেন। গত ২২ মার্চ সকালে প্রতিনিধিদলটি নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়।

ওই সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যাদের প্রত্যাবাসন করা হবে সেই সব রোহিঙ্গা যাতে আগে থেকে রাখাইনের সার্বিক পরিবেশ স্বচক্ষে দেখে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল শুত্রবার রাখাইন যায়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি