বোরোর ফলন ভালো হলেও লোকসানের শঙ্কায় কৃষক (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৩০, ৯ মে ২০২৩
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। দেশজুড়ে পুরোদমে চলছে ধান কাটা। তবে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন চাষীরা। কৃষি উপকরণের দামবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়ায় লোকসানের শঙ্কায় তারা। সরকারি পর্যায়ে সংগ্রহমূল্য বাড়ানোর দাবি কৃষকদের।
ছিল অনুকূল আবহাওয়া, রোগবালাইয়ের তেমন প্রাদুর্ভাবও ছিল না। তাই এবার সারাদেশেই বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। এখন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
এদিকে, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক ও বর্গাচাষীরা ঋণ পরিশোধ ও দৈনন্দিন খরচের মেটাতে হাটেবাজারে ধান বিক্রি করছেন। তবে ডিজেল, সার, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বাড়ায় মুনাফা হচ্ছে না বলে জানান কৃষকরা। তারা বলছেন, সরকারি গুদামে ধান-চাল বিক্রি করে লাভবান হন বড় জোতদার আর চালকল মালিকরা।
কৃষকরা জানান, ৮শ’ টাকায় কাঁচা ধান বিক্রি হচ্ছে, শুকনটা ৯শ’ টাকা।
চলতি মৌসুমে রংপুরের ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমির ধান থেকে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৮৪ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশা কৃষি কর্মকর্তাদের। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা তাদের।
এবার নওগাঁর প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ধানের দাম নিয়ে সন্তুষ্ট নন চাষীরা।
চাষীরা বলেন, দিনে দিনে সারের দাম বাড়ছে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। ধানের দর ১৫ থেকে ১৬শ’ টাকা হলে পোষাবে।
দিনাজপুরের হিলিতে ধানের দাম ১১শ’ টাকা মণ। এতে উৎপাদন খরচও উঠছে না, দাবি কৃষকদের। তারা বলেন, বিঘা প্রতি ৮-৯ হাজার টাকা মালিককে দিলাম, পানি দেড় হাজার টাকা, চাষ-রোপণ-কর্তনের খরচ যেয়ে আমাদের আয় আসছে না।
মেহেরপুরে এক বিঘা জমিতে ধান চাষ, কাটা ও মাড়াই করতে চাষির খরচ হচ্ছে প্রায় ১৪ হাজার টাকা। চাষীরা বলেন, সাড়ের দাম বস্তায় আড়াইশ’ টাকা বাড়ানো হয়েছে কিন্তু ধানের দাম বাড়েনি।
এদিকে, জামালপুরের হাটগুলোতে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা দরে।
কৃষকরা জানান, সরকার যে রেট দিয়েছে সেই রেটে আমরা ধান বিক্রি করতে পারছিনা।
ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, সরকারের বেঁধে দেয়া দরে ধান-চাল কিনলে লোকসান গুণতে হবে তাদের।
প্রান্তিক চাষীরা যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পান, তাই এখনই সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ চান কৃষকরা।
এএইচ
আরও পড়ুন