মাদারীপুরে ধানের বাম্পার ফলন, ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেনা কৃষক
প্রকাশিত : ১২:৪৮, ১১ মে ২০২৩
মাদারীপুরে এবার বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। সোনালী রংয়ে সেজেছে পুরো মাঠ। এরই মধ্যে কৃষকরা ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, তবে শঙ্কায় ফেলেছে ধানের দামে।
কৃষকের দাবি, শ্রমিকের মুজরি ও সার কিটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় প্রতি মণ ধান উৎপাদনে তাদের খরচ হয়েছে ১২শ’ টাকা। কিন্তু তারা দাম পাচ্ছে সাড়ে ৮শ’ টাকা থেকে সাড়ে ৯শ’ টাকা।
এবছর মাদারীপুর জেলায় মোট ৩৩ হাজার ৪শ’ ৭৭ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও চাষ হয়েছে ৩৫ হাজার ৫শ’ ৬৬ হোক্টর জমিতে। দাম কম পাওয়ায় শঙ্কিত সাধারণ কৃষক।
মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনওহাটা গ্রামের কৃষক অলিল মাতুব্বর বলেন, এবছর সে হিরা ধান রোপন করেছেন জমিতে। ধানের দাম কম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ধানের দাম মাত্র সাড়ে ৮শ’ টাকা কিন্তু সার ও কিটনাশক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। শ্রমিকের মুজরিও বেশি দিতে হয়েছে। এত কম দামে ধান বিক্রি করলে খরচই উঠবে না।
আরেক কৃষক সিরাজ জানান, সার-কিটনাশকের দাম বেশি, বেশি দাম দিয়ে ক্ষেতে কৃষাণ দিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিমণ ধানে আমাদের খরচ হয়েছে ১২শ’ টাকা। ধানের বর্তমান যে দাম তাতে খরচইতো উঠবে না। তাহলে এত পরিশ্রম করে লাভ কি?
ধানের আড়ৎ মালিকরা জানান, কৃষকরা ক্ষেত থেকে ধান উঠিয়েই বিক্রি করছে, সব ধানই ভিজা। এ ধান শুকালে প্রতি মণে ৭ থেকে ৮ কেজি কমে যাবে। তাই বর্তমানে কৃষক যে দামে ধান বিক্রি করছে তাতে তাদের লোকসান হবে না বরং লাভই হবে।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সন্তোষ চন্দ্র চন্দ বলেন, আবহওয়া ভাল থাকায় এবার মাদারীপুর জেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন দাম কম থাকলেও দ্রুত ধানের দাম বেড়ে যাবে।
প্রান্তিক কৃষিকদের দাবি, তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় সরকার তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এএইচ
আরও পড়ুন