ঢাকা, শুক্রবার   ১৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

‘মোখা’র তাণ্ডবের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কক্সবাজার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:২০, ১৫ মে ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কক্সবাজারে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, রাস্তাঘাট মেরামত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ শুরু হয়েছে। আবারও ঘুরে দাড়াঁনোর চেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা। 

একইভাবে সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজারে বিমান চলাচলও শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের পর গতকাল রাতেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে গেছে দুর্গত মানুষরা। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব মানুষেরা। বিশেষ করে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমাটিন দ্বীপে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোও। 

তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা সরকারিভাবে এখনও সহায়তা পায়নি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে, কক্সবাজার জেলায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার আংশিক ও ২ হাজার সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। শুধুমাত্র সেন্টমার্টিনেই ১২শ’ ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এসময় অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। একইভাবে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ঝুঁপড়ি ঘর। তবে হতাহত হয়নি কেউ।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মহাবিপদ সংকেত কেটে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে গেছে দুর্গত এলাকার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে যেসব বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকার মানুষেরা বাড়িঘর হারিয়ে নি:স্ব। বাড়িঘর মেরামতের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা তাদের।

এদিকে, কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশার মো: মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৭৮টি শেল্টার, ২৫৪৮টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত শেন্টার, ৩২টি লার্ণিং সেন্টার, ১টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্ৰ, ২৯টি মসজিদ-মক্তব, ১২০টি ঘরে ভূমিধ্বস, ২২৫টি গাছ উপড়ে গেছে, ১৮৩টি টয়লেট, ১৩২টি গোসল খানা, ২০টি নলকূপ/ওয়াটার নেটওয়ার্ক, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের পরিমাণ ১৩৫ ফুট, অন্যান্য স্থাপনা ৫৮টি। 

এসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৬১১ জন রোহিঙ্গা। ঘূর্ণিঝড় চলাকালিন সময় ৫ হাজার ৩৮৬ জন রোহিঙ্গাকে অন্যত্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি