টাকার জন্য বন্ধুকে অপহরণের পর হত্যা, মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত : ০৯:০৭, ২১ মে ২০২৩
ঢাকার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তিতে নাটোরে মাটিতে পুঁতে রাখা রুবেল হোসেন নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার রুয়ের ভাগ গ্রামের আসামি তারেক রহমানের বাড়ির পেছন থেকে এই মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। রুবেল হোসেন নাটোর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর আমহাটি এলাকার রুপিজ উদ্দিনের ছেলে।
নাটোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, রুবেল হোসেন, তারেক রহমান এবং হৃদয় হোসেন তিনজন বন্ধু। গত বছরের ১১ নভেম্বর হৃদয় হোসেন এবং তারেক রহমান জানতে পারে রুবেল হোসেনের বাবা অনেক ধনি ব্যক্তি তাদের অনেক টাকা ও সম্পদ রয়েছে। এরপরে তারা রুবেলকে অপহরণ করে। তার পরিবারের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা মুক্তিপণ আদায় করার জন্য রুবেলকে ডেকে নিয়ে যায় তারেকের রুয়ের ভাগের বাড়িতে।
সেখানে হৃদয় হোসেন এবং তারেক রহমান দুজনে মিলে রুবেলকে ঘুমের ঔষধ খাওয়ানোর পর তাকে হত্যা করে। হত্যার পরে তারা রুবেলের মরদেহ তারেকের বাড়ির পেছনে মাটিতে পূঁতে রেখে ঢাকায় চলে যায়।
এরপর তারেক-হৃদয় রুবেলের বাবাকে মোবাইল ফোনে রুবেলকে অপহরণের কথা জানায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে।
রুবেলের বাবা পর্যায়ক্রমে তাদের চল্লিশ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়। এরপরেও রুবেলকে ফেরত না দেওয়ায় ৪ ডিসেম্বর রুবেলের বাবা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি চলতি বছরে ১০ মে ডিবি পুলিশ তদন্তভার গ্রহণ করে।
তদন্ত চলাকালিন অবস্থায় ডিবি পুলিশ ঢাকার দক্ষিণখান থানায় অন্য একটি মামলায় গ্রেফতারকৃত তারেক এবং হৃদয়কে নাটোরে নিয়ে আসে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে তারেকের বাড়ির পেছন থেকে পুঁতে রাখা রুবেলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
হদয় হোসেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং তারেক রহমান নাটোর সদর উপজেলার রুয়েরভাগ এলাকার বাসিন্দা।
এএইচ
আরও পড়ুন