ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

কুরবানির বাজার কাঁপাতে প্রস্তুত আসমা খাতুনের লালু পালোয়ান

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:২৯, ৩১ মে ২০২৩

কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে আসমা খাতুন তার বাড়িতে লালন পালন করেছেন লালু পালোয়ান নামের এক বিশাল আকৃতির ষাঁড়। ষাঁড়টির ওজন এরই মধ্যে ৮শ’ কেজি ছাড়িয়েছে। ঈদের বাজারে ভালো দামের আশা করছেন আসমা খাতুন।

যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আসমা খাতুনের বাড়িতে লালু পালোয়ান নামের ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশেপাশের মানুষ। 

ইউটিউবে বড় বড় গরু দেখে আসমার মনে শখ জাগে বড় গরু পালনের। তাই কোরাস জাতের ফ্রিজিয়ান গাভী কিনেন তিনি। এই গাভীর জন্ম নেওয়া এই ষাঁড়টি এখন তার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছে। মাত্র ৩ বছরেই তৈরি করে ফেলেছেন লালু পালোয়ান নামের শখের ষাঁড়টিকে। 

৪ দাঁতের ষাঁড়টির উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট। ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৬ ফুট। আর ওজন ৮শ’ কেজি ছাড়িয়েছে।

এই লালু পালোয়ানের ওপর ভর করে কোরবানি ঈদকে ঘিরে বড় স্বপ্ন দেখছেন আসমা খাতুন। কোন হরমোন ইনজেকশন ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবার দিয়েই সন্তানের মত যত্ন করে লালন-পালন করেছেন ষাঁড়টিকে। আর বিশাল আকৃতির এ নেপাল জাতের ষাঁড়টির দাম হাঁকাচ্ছেন ৬ লাখ টাকা।

আসমা খাতুন বলেন, অনেক কষ্ট করে সন্তানের মত লালন-পালন করেছি লালু পালোয়ানকে। এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। তাকে রাখার মত জায়গা আমার নেই। আমরা সাধারণ মানুষ, তাই ভালো দাম পেলে বিক্রি করতে চাই।

আসমা খাতুনের স্বামী বাবলু হোসেন জানান, তিনি জমি মাপের (আমিন) কাজ করেন, পাশাপাশি বাড়িতে গরু পালন করেন। আর সব কিছু দেখা শোনা করেন তার স্ত্রী আসমা খাতুন।

শার্শা বাজার থেকে আসা জাফর উদ্দিন বলেন, মানুষের মুখে শুনে কন্যাদাহ গ্রামের আসমা খাতুন ষাঁড়টি নিজের চোখে দেখতে এসেছি। আমারও ইচ্ছে হচ্ছে একটা গরুর খামার করার। 

বেনাপোলের গরু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টি দেখলাম, দামটা একটু বেশি। আরও কয়েকটি গরু দেখবো, তারপর সিদ্ধান্ত নিবো কোনটি কিনবো। আমাদেরও তো বিক্রি করতে হবে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি