বেনাপোল দিয়ে দেশে এলো আরও ৭২৭ টন পেঁয়াজ
প্রকাশিত : ১৩:৩৮, ১৫ জুন ২০২৩
সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে বুধবার পর্যন্ত ৭২৭ টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার শেখ ইনাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য বন্দরে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে সে হিসেবে বেনাপোল দিয়ে আমদানির পরিমাণ সামান্য। কোন দিন ২ ট্রাক, কোন দিন ৫ ট্রাক, আবার কোন দিন এক ট্রাকও আসছে না। গত সোমবার (৫ জুন) সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর ওই দিন রাতে তিন ট্রাকে ৭৫ টন আমদানির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি।
জানা যায়, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল। দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে গত মে মাসের মাঝামঝি থেকে দাম বাড়াতে থাকে। ৩০-৩৫ টাকার পেঁয়াজ কিনতে হয় ৯০-১০০ টাকা কেজি। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে।
অবশেষে বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানির খবরে কয়েকটি জেলায় পেঁয়াজের দাম কমে আসলেও যশোরের বিভিন্ন স্থানে এখনও দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ব্যবসায়ীরা যার কাছ থেকে যা পারছে তাই নিচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য কয়েকশ’ টন ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) করেছেন আমদানিকারকরা। সেগুলোর মধ্যে অল্প অল্প করে পেঁয়াজ আসছে বেনাপোল দিয়ে। ভোমরা, হিলি ও সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে আমদানির পরিমাণ কম। আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
এএইচ
আরও পড়ুন