ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামে বানের পানিতে ডুবলো বিকল্প সেতু, ভোগান্তিতে মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৩৬, ১৬ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১৪:৩৮, ১৬ জুলাই ২০২৩

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নীলকমল নদের উপর বিকল্প সেতুটি বানের পানিতে ডুবে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলা গাছের ভেলায় পারাপার হচ্ছেন হাজারও মানুষ।

গত কয়েক মাস আগে সেতুটি ভেঙে নতুন সেতুর কাজ শুরু করে হাসান টেকনো নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মানুষের চলাচলে ভোগান্তি কমাতে নির্মাণাধীন সেতুর পাশে তৈরি করা হয় একটি বিকল্প সেতু।

ওই সময় নিচু জায়গায় সেতু নির্মাণে অনেকেই আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন জনগণের আপত্তির তোয়াক্কা না করে বিকল্প সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেন। ফলে ওই নিচু সেতু দিয়েই মালামাল পরিবহনে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় অনেককে। 

নির্মাণের পর থেকে ভোগান্তি নিয়ে পারাপার হতে পারলেও বর্তমানে বানের পানিতে বিকল্প সেতুটি ডুবে গেছে। নদ পারাপারে ভরসা এখন কলাগাছের ভেলা। বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল, ভোগান্তির শিকার হাজারও মানুষ। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে  ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের গার্ডার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো। চুক্তি মোতাবেক ১৫ নভেম্বর ২০২২ তারিখ কাজ শুরু করে ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। 

সড়ক বিভাগ বলছে, কাজের যে অগ্রগতি তাতে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সেতুর নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হবে।

তবে, মানুষের চলাচলের জন্য বিকল্প যে সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার সদরের সাথে সরাসরি যানচলাচল। 

ঝুঁকি নিয়ে কলা গাছের ভেলায় পারাপার করতে দেখা গেছে অনেককেই। পণ্য পরিবহনে সৃষ্টি হয়েছে অচলবস্থা। পারাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে এমনটাই দাবি ভোগান্তির শিকার মানুষের।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, আজকে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছি। আসলে আচমকা পানি বৃদ্ধির ফলে বিকল্প সেতুটি তলিয়ে গিয়ে মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল থেকে পানি কিছুটা কমছে। আশা করছি, দু-তিন দিনের মধ্যেই সেতু থেকে পানি নেমে যাবে। আর যদি পানি নেমে না যায় সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি