ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ফের চালু হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানা (ভিডিও)

এসএম জসিম উদ্দিন, ঠাকুরগাঁও থেকে

প্রকাশিত : ১৫:০৭, ২৬ জুলাই ২০২৩

দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে বেসরকারি উদ্যোগে ফের চালু হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানা। প্রস্তুতি হিসেবে চলছে কারখানার অভ্যন্তরীণ ঝোপ-ঝাড় ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কারের কাজ। রেশম চাষীরাও গুটি ও সুতা তৈরি কাজে ব্যস্ত। জেলায় চিনিকলের পর এটিই বড় শিল্প-প্রতিষ্ঠান। কারখানাটি চালু হলে রেশমের সুদিন ফিরবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

আশির দশকে বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের জন্য ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় তিন একরের বেশি জায়গায় গড়ে তোলে রেশম কারখানা। পরে ১৯৮১ সালে কারখানাটি রেশম বোর্ডের অধীনে আনা হয়। চলতি মুলধন না থাকায় পরিচালন ব্যয় রেশম বোর্ডের উন্নয়ন তহবিল থেকে ঋণ হিসেবে দেয়া হতো। 

এরপর ১৯৯৬ হতে ১৯৯৯ সালের মধ্যে এক কোটি ৬৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে রেশম কারখানাটির আধুনিকায় ও সম্প্রসারণ করা হয়। বসানো হয় অতিরিক্ত ২০টি তাঁতসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। কিন্তু আবর্তক তহবিলের অভাবসহ নানাবিধ কারণে কারখানাটি পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ২০০২ লোকসানের কারণে এটি বন্ধ করে দেয় সরকার।  

সম্প্রতি রেশম কারখানাটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই পাঁচ বছরের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভবন এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহারের লিজ দেয়া হয়েছে। নতুন করে উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে ঝোপ-ঝাড় এবং যন্ত্রপাতি ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। রেশম চাষীরাও এখন গুটি ও সুতা তৈরিতে ব্যস্ত।  

এদিকে, উৎপাদন চালু হওয়ার খবরে খুশি চাকরি হারানো শ্রমিক ও স্থানীয়। কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা করছেন তারা। 

দেড় শতাধিক শ্রমিক আর ১০ হাজার রেশম চাষি এই কারখানার ওপর নির্ভরশীল ছিল। তাদের সুদিন ফিরবে বলে  জানালেন এই কর্মকর্তা। 

জোনাল রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক বেলায়েত হোসেন প্রধান বলেন, “কারখানা চালু হলে অত্র এলাকার যে রেশম চাষী আছে তারা অত্যন্ত উৎসাহিত হবেন। নতুন নতুন রেশম চাষী তৈরি হবে এবং তাদের জীবন-জীবিকার রাস্তা খুলে যাবে।”

শিগগিরই রেশম কারখানাটি চালু হবে হবে আশা করছেন লিজগ্রহিতা প্রতিষ্ঠান সুপ্রিয় গ্রুপের কর্মকর্তারা।  

সুপ্রিয় গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান বলেন, “ঠাকুরগাঁও সিল্কের মান অনেক ভালো। রাজশাহীর চেয়েও ভালো। আমার বিশ্বাস, আবার সেই সুনাম বয়ে আসবে।”

ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী রেশম কারখানাটি চালু এলাকার অর্থনীতিতে নতুন গতি আসবে, এমনটাই বলছে স্থানীয় প্রশাসন।   

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান বলেন, “নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং ঠাকুরগাঁওয়ের অর্থনীতিতে গতি আসবে।”

সব প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়া শেষে রেশম কারখানাটি দ্রুত সময়ে পুনরায় চালু হওয়ার প্রতীক্ষায় স্থানীয়রা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি