ক্যাশলেস ভূমি অফিস বাস্তবায়নে বরগুনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা
প্রকাশিত : ১৪:০০, ১২ আগস্ট ২০২৩
স্মার্ট ভূমি অফিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বরগুনা জেলার ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমান।
জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো: শওকত আলী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য শশাঙ্ক শেখর ভৌমিক ও ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ আরিফ।
প্রশিক্ষণে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ডঃ জাহিদ হোসেন পনির বিপিএএ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সেলিম আহমেদ। কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিজুস চন্দ্র দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফয়সাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি সচিব বলেন, সারাদেশের মধ্যে বরগুনা জেলাকে এ কর্মশালার জন্য ৩৬তম জেলা হিসাবে বেছে নেয়া হয়েছে। এই জেলায় সরাসরি অফিসে উপস্থিত না হয়ে সেবা প্রত্যাশী সাধারণ জনগণ অনলাইনে জমির নামখারিজ, নামজারি, বিভিন্ন ফি জমাদান, রশিদ উত্তোলনসহ জমি সংক্রান্ত সকল সেবা মোবাইলফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন। ফলে তারা দীর্ঘদিনের মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি পাবেন।
সভাপতির বক্তব্যে চলতি বছরের মধ্যে বরগুনা জেলায় শতভাগ স্মার্ট ভূমি অফিস গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, স্মার্ট নামজারি, স্মার্ট ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ও স্মার্ট খতিয়ান প্রদানের মাধ্যমে ক্যাশলেস ভূমি অফিস প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমান সরকার উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট বাংলাদেশঃ ভিশন ২০৪১ প্রতিষ্ঠা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ রোডম্যাপে ৪টি পিলার যথাক্রমে- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট গভর্নেন্স অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভূমি সেবাকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় বেশকিছু কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ডিজিটাল ও ক্যাশলেস ভূমিসেবা অন্যতম।
ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া চালু হয়েছে ই-মিউটেশন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর আদায় সিস্টেম, ডিজিটাল রেকর্ড রুম, ডাকযোগে খতিয়ান ও পর্চা প্রাপ্তি, ডিজিটাল সার্ভেয়িং এবং ম্যাপিং, অনলাইন জলমহাল ইজারা, ল্যান্ড জোনিং, অনলাইন শুনানি সিস্টেম, হটলাইন সেবা (১৬১২২) ইত্যাদি। যার মাধ্যমে ভূমিসেবা পৌঁছে যাচ্ছে সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায়।
এএইচ
আরও পড়ুন