ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীতে সরকারি কৃষিমার্কেটের জমিতে উঠছে অবৈধ স্থপনা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৫৪, ২৮ আগস্ট ২০২৩

১৯৯৬ সালে জেলার দক্ষিণ অঞ্চলের কৃষি পণ্যের বাজার সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার কালামুন্সি বাজারে সরকারি ভাবে তৈরি করা হয় ‘কৃষি মার্কেট’। ১ একর ৯৬শতক জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত মার্কেটটি ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। সাম্প্রতি জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তার যোগসাজশে মার্কেটটির সড়ক, গলি, টয়লেট সহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বরাদ্দ দিয়ে গড়ে উঠেছে অন্তত ১৩টি স্থাপনা। কৃষি বিপণন কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডে অবাক উপজেলা প্রশাসন, বলছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জড়িতদের বিরুদ্ধে। 

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মার্কেটটিতে ১টি অফিস কক্ষ ২৪টি দোকান ও ৪টি ওপেন সেড নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে বিভিন্ন সময় ২৪ দোকান দরপত্রের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হলেও গ্রাহক শূন্য থাকে ৪টি ওপেন সেড। ২০১৭/১৮ অর্থবছরে প্রতি বছর ১০% ভাড়া বৃদ্ধি হারে দরপত্রের মাধ্যমে সেডগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, মার্কেটটির বয়স দীর্ঘদিন হলেও পরিবেশের কারণে সেটি কখনও জমে ওঠেনি। মাদক সেবীদের আড্ডা ও গুরু-ছাগলের চারণভূমি ছিলো এটি।

গত ৩-৪ বছর থেকে মার্কেটটি নিজের স্বরূপে ফিরে আসে। এরই মধ্যে বরাদ্দকৃত ঘরগুলোর বাইরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী, অসাধু লোকজনের সাথে যোগসাজশ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ স্থাপনা তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। আর এজন্য জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস ও একই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর মুদ্রাক্ষরিক মোশারেফ হোসেনকেই অভিযুক্ত করলেন স্থানীয়রা।

অবৈধ দখলদাররা বলছেন, তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কৃষি বিপণন কর্মকর্তা নিজে স্বাক্ষর করে জায়গাগুলো তাদের বরাদ্দ দিয়েছেন। কাগজটি সঠিক কিংবা ভূয়া তা তাদের জানা নেই। তবে একাধিক সূত্র বলছে অবৈধ বরাদ্দ পত্রে মহা-পরিচালক ও উপ-পরিচালককে অনুলিপি দেওয়ার তথ্যটিও ভূয়া ছিলো।

কৃষি বিপণন কর্মকর্তা অবৈধভাবে নিজের ব্যক্তিস্বার্থে সড়ক, গলি, গোসালা, টয়লেট সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৩টি স্থাপনা বরাদ্দ দিয়েছেন এমন অভিযোগ মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।

এদিকে অবৈধ দখলদার ও জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা।

ভূয়া অনুলিপি দেখিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো নিজে বরাদ্দ দিয়েছেন বলে স্বীকার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নোটিশ করে ওই স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান বিপণন কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস।

দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে অসাধু কর্মকর্তা ও তার সহযোগিদের রুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।  

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি