ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মন্দির দখল মুক্ত করতে হবিগঞ্জের ডিসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৬, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী গোপাল জিউ ঠাকুর আখড়া এবং বৈষ্ণবের আখড়া ও মন্দির এলাকাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই আদেশ বাস্তবায়ন করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানাতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। ভূমি মন্ত্রণলয় সচিবসহ ১৬ বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালত এই সময় বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থাপনা রক্ষায় নির্দেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ২ নম্বর রিচি ইউনিয়নের শত শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মন্দির ও শ্মশান দীর্ঘদিন ধরে নূর মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি জবর দখল করে আছে। মন্দির ও শ্মশানের জায়গার এস এ পর্চা খতিয়ান নম্বর ১। ২৬৬ দাগে মন্দিরের ৩৪ শতক জমি এবং ২৬২ দাগে শ্মশানের ৭০ শতক জমি। সেগুলো নতুন জরিপে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। তবে সবগুলোই এখন পর্যন্ত কোনও ব্যক্তির নামে করা হয়নি, যা খতিয়ান নম্বর ১-এ লিপিবদ্ধ আছে।

বর্তমানে মন্দির ও শ্মশানের জমির বৈধ কাগজপত্রে মালিক না হয়েও নূর মোহাম্মদ বাস্তবে মন্দির ও শ্মশানের জমিতে অনেকগুলো দোকান-কোঠা তৈরি করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।

এছাড়া অবশিষ্ট জমিতে ঘর তৈরি করে পরিবারের লোকজন নিয়ে নিজেই বসবাস করে আসছেন। ওই মন্দির ও শ্বশানের জায়গা পুনরুদ্ধার করে সনাতন ধর্মাবলম্বীর পূজা আরাধনা ও সৎকার কার্যক্রম পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসকের কাছে দুইবার আবেদন করা হয়। তবে সে আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিকার চেয়ে রিট দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। মন্দির পরিচালনা কমিটির ও সেক্রেটারি ও মন্দির সেবায়েত সুমন্ত্র দাস গুপ্ত বাদি হয়ে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

কেআই// 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি