ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

আগুন দেখে চিৎকার, বেঁচে গেল স্কুলের কোমলমতি শিশুরা

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৫৮, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪

নাটোর শহরের নিচাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের চিৎকার-চেচামেচি শুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীসহ প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেললে ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় কোমলমতি শিশুরা। 

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের দোতালার ওয়াশরুমে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নাটোর ফায়ার স্টেশন কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। 

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীসহ অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের দোতালা ভবনের ওয়াশ রুম থেকে কালো ধোয়া বের হতে দেখে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে থাকে। চিৎকার শুনে ভবনের নিচতলায় অফিস রুম থেকে শিক্ষকসহ কর্মচারীরা দোতালার দিকে ছুটে যান। 

এসময় পথচারীসহ এলাকাবাসী ও অভিভাবতরাও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা সবাই মিলে বিদ্যালয়ের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এক সময় ধোয়া কমে গেলে দেখা যায় ওয়াশ রুমের কমোট বেসিনের হ্যান্ড ওয়াশের পাইপ পুড়ে গেছে।

পাইপে অগুন লাগার কারণে ধোয়ায় ভরে যায় বলে ধারণা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীসহ অভিভাবকরা। 

এসময় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ছোটাছুটি করে এবং আগুন আগুন বলে চিৎকার দিতে থাকে। 

খবর পেয়ে নাটোর ফায়ার স্টেশন কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। 

বিদ্যালয়ের প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম জানান, তারা শিশুদের আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে কালো ধোয়া দেখতে পান। অনেকেই ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। শুধু ধোয়াই দেখা যাচ্ছিল। কোন আগুন দেখা যায়নি। তবে আগুন ভয়াবহ হলে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা ছিল।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শামছুন নাহার বলেন, তারা কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারীসহ নিচের অফিস রুমে বসেছিলেন। বেলা ১২টা ১০ মিনিটের দিকে ওপর তলায় শিশুদের চিৎকার শুনতে পান। তারা আগুন আগুন বলে চিৎকার করছিল। ওপরতলায় যাওয়ার আগেই দোতালায় কালো ধোয়া দেখতে পান তারা। দ্রুত বিদ্যালয়ের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হন তারা। 

নাটোর ফায়র সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ ফিরোজ কুতুবি জানান, বৈদ্যুতিক সর্ট সাকিটে কোন আগুন লাগেনি। কারো অসাবধনতা অথবা খেলার ছলে পলিথিন বা দিয়াশলাই জ্বালানোর কারণে হ্যান্ডওয়াশের পাইপে আগুন লাগে। ফায়র কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলে স্কুল কর্তৃপক্ষসহ অভিভাবকরা। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি