ঢাকা, শুক্রবার   ১৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জমির বিরোধে সালেহ হত্যায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:০৯, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

জয়পুরহাটে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সালেহ মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। এছাড়া এ মামলা থেকে ৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তদের বাড়ি জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এদের মধ্যে ২ জন পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ১৫ জনকে পুলিশি পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আরিফুল প্রাং, আবু নাসের প্রাং, ডা. মো. শাহজাহান আলী, হাদিউজ্জামান প্রাং, আশরাফ আলী, মোহাম্মদ আলী ওরফে লাল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী প্রাং, জহির প্রাং, শামছুল আলম, সায়েম উদ্দিন, ওবাইদুল প্রাং, সইম প্রাং, রহিম প্রাং, আবু সাঈদ, আবু বক্কর, বানু বেগম ও সাহেনা বেগম। এদের মধ্যে আশরাফ আলী ও আবু সাঈদকে পলাতক দেখানো হয়েছে। তারা সকলেই পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর, চকপাড়া ও রাঘবপুর এলাকার বাসিন্দা।

আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- অমিছা বেগম, শহিদুল ইসলাম, বেলছি বেগম, হাফেজা ফকির ও সাবদুল ফকির।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর চকপাড়া গ্রামের মৃত আলতাফের ছেলে সালেহ মোহাম্মদের সাথে আসামিদের দীর্ঘদিন থেকে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এরই জের ধরে ২০০৯ সালের ২ মে সকালে সালেহ মোহাম্মদ তার নিজ শ্যালো মেশিন ঘর থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে আমগাছের সাথে হাত-পা বেধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। 

এসময় সালেহ মোহাম্মদ পানি খেতে চাইলে আসামিরা পানির বদলে মরিচ গুলানো পানি জোড়পূর্বক পান করালে সে ছটফট করতে করতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। 

এ ঘটনায় একই তারিখে পাঁচবিবি থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আজিজুল হক। 

এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি