মুকুল হত্যার রহস্য উদঘাটন, ঘাতক নিজের বড়ভাই
প্রকাশিত : ১০:৫৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১২:০০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গত ১২ ফেব্রুয়ারি কালিহাতী থানার পারখী বিল থেকে মুকুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর থেকে ছায়া তদন্তে নামে পিবিআই। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার বিকালে টাঙ্গাইল পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
টাঙ্গাইল জেলা পিবিআইয়ের পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন জানান, গত ২৭ জানুয়ারি হত্যাকারী সোহেল ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর বাজার হতে একটি কোদাল ও কোদালের আছারি ক্রয় করেন। এরপর হত্যা হওয়া মুকুলকে মোবাইলে জরুরি প্রয়োজন আছে বলে ডেকে আনেন পারখীতে।
পরে মুকুলকে কৌশলে বিলে নিয়ে গিয়ে সোহেলের গলায় থাকা মাফলার দিয়ে মুকুলকে হত্যা নিশ্চিত করে কোদাল দিয়ে গর্ত করে সেখানে পুঁতে রেখে চলে যায়। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা-ঢাকা দেন সোহেল।
এরপর টাঙ্গাইল পিবিআই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার রাতে গাজিপুর ও ঢাকা থেকে কালিহাতী উপজেলার মৃত হানিফার ছেলে ও হত্যা হওয়া মুকুলের বড় ভাই সোহেল ও দিনাজপুর জেলার চিরির বন্দর উপজেলার দগরবাড়ি গ্রামের মৃত রমনী কান্ত শীলের ছেলে পরেশ চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করা হয়।
আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে ছোট ভাইকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখে প্রবাসফেরত সোহেল। একাধিকবার বোঝানোর পরও সম্পর্ক থেকে সরে ‘না আসায়’ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানায় সে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানিয়েছে, বিদেশ যাওয়ার পর তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ায় মুকুল। সোহেল বিদেশ থেকে ফেরার পরও এই সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। একাধিকবার নিষেধ করলেও না শোনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মুকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৭ জানুয়ারি রাতে বন্ধু পরেশকে সঙ্গে নিয়ে মুকুলকে ডেকে গলায় মাফলার বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর লাশ ধানক্ষেতে মাটিচাপা দেয় তারা।
এএইচ
আরও পড়ুন