রমজানে বিনা লাভে পণ্য বিক্রি করছেন মজিবুর
প্রকাশিত : ১৪:৩৯, ১৭ মার্চ ২০২৪
রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সময়ে বিনা লাভে পণ্য বিক্রি শুরু করেছেন ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান। পুরো রমজান জুড়ে চলবে মজিবুরের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ।
মজিবুর রহমানের ‘মায়ের দোয়া’ স্টোরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মজিবুর রহমান তার দোকানে ৮ রকমের পণ্য বিনালাভে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তিনি প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি করছেন ১০২ টাকায়, খেসারি ডাল ১০৮ টাকায়, চিড়া ৫৬ টাকায়, চিনি ১৪২ টাকায়, বেসন ৮৩ টাকায়, মুড়ি ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।
পাশাপাশি সোয়াবিন তেল ও খেজুরও লাভ ছাড়াই বিক্রি করছেন মজিবুর। ক্রেতাদের সুবিধার্থে স্টোরে পণ্যের মূল্য তালিকাও সাটিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মজিবুর রহমান রহমান জানান, রমজান আসতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। অথচ রমজানে এলে মধ্যপ্রাচ্যে সব খাবারের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকাকালীন সময়ে তাদের এমন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে রমজান উপলক্ষে বিনা লাভে পণ্য বিক্রি শুরু করেছেন তিনি।
আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য আগামী রমজানেও এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান এ ব্যবসায়ী।
বিনা লাভে রমজানের পণ্য বিক্রি করার বিষয়টি সবার নজর কেড়েছে। ইতিমধ্যেই পেয়েছেন ব্যাপক সারা। দূর দূরান্ত থেকেও এখানে পণ্য কিনতে এসে মধ্যবিত্ত ও অসহায়রা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যান্য বড় ব্যবসায়ীদেরও এভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছেন সবাই।
পণ্য কিনতে আসা রফিক হোসেন বলেন, ‘যেখানে ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সিন্ডিকেট করে সব পণ্যের দাম বাড়াতে সেখানে ব্যতিক্রম মজিবুর ভাই। তিনি কিনা দামে চিনি, তেল, খেজুরসহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করায় আমরা কম দামে কিনতে পারছি। তাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না।’
সালেহ মোল্লা নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। মজিবুর রহমান দুনিয়াতে কি পাবে জানি না, তবে আল্লাহ তাকে অবশ্যই পরকালে পুরস্কৃত করবে।’
রিক্সাচালক নোয়াব আলী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। জিনিসপত্রের যে দাম মন চাইলেও সব কিনতে পারি না। এ দোকানে এসে খুবই ভাল লাগছে। দম কম কিছু কিনতে পারলাম।’
স্থানীয়রা মনে করেন মজিবুরের মত অন্য ব্যবসায়ীরাও যদি রমজান মাসে এভাবে ছাড় দিতেন তাহলে মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষ এই রমজানে পণ্য কিনে কিছুটা স্বস্তি পেতেন।
এএইচ
আরও পড়ুন