দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আদিবাসী তরুণী, গ্রেপ্তার ৩
প্রকাশিত : ১৪:৪৯, ২৬ মার্চ ২০২৪
রাজশাহীর তানোরে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন এক আদিবাসী তরুণী (২০)। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে তানোর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা সাবাই আদিবাসী যুবক।
সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের শালতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের চকরতিরাম (শালতলা আদিবাসীপাড়া) গ্রামের বাজুন মারডীর ছেলে সামুয়েল মারডী (২৫), একই গ্রামের কিলিশ মুর্মুর ছেলে রুবেল মুর্মু (২১) ও নরেশ হাঁসদার ছেলে শিবেন হাঁসদা (২২)।
মুসলিম ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করায় আদিবাসী তিন যুবক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে তারা।
তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, সোমবার থানায় ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার তরুণী নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার তরুণীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাদ দিয়ে ওসি আরও জানান, ওই তরুণীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমাস্তাপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামে। সম্প্রতি দুই বোনকে সঙ্গে নিয়ে চকরতিরাম গ্রামের তার খালার বাড়িতে আলু তোলার কাজ করতে আসে। এ সময় চকরতিরাম গ্রামের মৃত হামেদ আলীর ছেলে রাহিমের সাথে তার পরিচয় হয়।
এর সূত্র ধরে রহিমের সঙ্গে দেখা করতে রোববার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। রাত ৯টার দিকে খালার বাড়ির পাশের একটি আমবাগানে রহিমের সঙ্গে দেখা করতে যায় ওই কিশোরী। এ সময় আদিবাসী তিন যুবক সেখানে চলে আসে। তাদেরকে দেখে রহিম সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে মুসলিম ছেলের সঙ্গে প্রেম করার কারণে আদিবাসী তিন যুবক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
এএইচ
আরও পড়ুন