একদিনেই হিটস্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ২২:০৬, ২১ এপ্রিল ২০২৪
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। মেহেরপুর, পাবনা, ঝালকাঠি, নরসিংদী ও সিলেটে হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন ৫ জন। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শরীয়তপুরে শিশুসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দুই শতাধিক। এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে তরল জাতীয় খাবারের পরামর্শ চিকিৎসকরা। ক্ষতির মুখে ফসলের ক্ষেতও।
পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। এছাড়া খুলনা ও ঢাকা বিভাগে তীব্র এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে চলছে মৃদু থেকে মাঝারী তাপপ্রবাহ।
গরম বাতাসে দিশেহারা রাজশাহীবাসী। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সাতদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বলেন, “এটি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রা বাড়তে ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।”
দিনভর খুলনাতেও ছিল রোদের প্রখরতা। তীব্র গরমে বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। গরমজনিত রোগ জ্বর, মাথাব্যথা ও পেটের পীড়ায় ভুগছেন মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, ঘর থেকে বের হলে মনে হচ্ছে শরীর পুড়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর ভীড়। প্রতিদিনই ডায়রিয়া আক্রান্তসহ শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল আরএমও ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, “রোদে যত কম বের হওয়া যায়, রোদে বের হলেও যাতে ছাতা ব্যবহার করি।”
নরসিংদীর মাধবদীতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সাফকাত জামিল ইবান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পাবনার রূপকথা রোডে হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন এক গৃহবধূ। সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় মারা গেছেন রিকশাচালক। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় আফজাল তালুকদার নামে মারা গেছেন একজন।
গাইবান্ধায় ক্ষতির মুখে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলসহ সাত উপজেলার অপরিপক্ক পাট ও তোষা গাছ। উঠতি বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় যশোরের কৃষকও। শেষ সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় বেড়েছে সেচ খরচ।
তীব্র দাবদাহে গলে গেছে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের ট্রাফিক মোড়সহ বেশ কয়েক জায়গার রাস্তার পিচ।
তবে বিকালে সিলেট অঞ্চলে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। নগর এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিও হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন