চাচাকে হত্যার দায়ে ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত : ০৯:০০, ১৪ মে ২০২৪

যশোরের শার্শা উপজেলার পশ্চিমকোটা গ্রামে আজগর আলী ফকির নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ভাতিজা অহিদুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অহিদুলের মা সাহিদা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এক রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অহিদুল ইসলাম পশ্চিমকোটা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার জয়নাল ফকিরের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্তি পিপি আসাদুজ্জামান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, আসামি অহিদুল ইসলাম সম্পত্তি লিখে দিতে বাবা জয়নাল ফকিরকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর জের ধরে ২০১৩ সালের ১৯ মে সকালে অহিদুল তার বাবাকে স্থানীয় খালপাড়ের তিনরাস্তার মোড়ে পেয়ে মারধর করেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য জয়নাল ফকির তার ভাই আজগর আলী, প্রতিবেশী নজরুলসহ বেশ কয়েকজনকে বিকেলে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। কথাবার্তার একপর্যায়ে অহিদুলের মা সাহিদা বেগম উত্তেজিত হয়ে সবাইকে গালিগালাজ শুরু করেন।
এর মধ্যে অহিদুল ঘরের বারান্দা থেকে লোহার শাবল নিয়ে এসে তার চাচা আজগর আলীর মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত আজগর আলীকে প্রথমে বাগআঁচড়া ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত আজগর আলীর স্ত্রী ছকিনা খাতুন বাদী হয়ে মা-ছেলেকে আসামি করে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে অহিদুল ইসলাম ও তার মা সাহিদা বেগমকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ২৭ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অহিদুল ইসলাম বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এএইচ
আরও পড়ুন