ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

বন্যা: সিলেটে-সুনামগঞ্জে ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ০৯:৫৪, ২১ জুন ২০২৪

সিলেটের কুশিয়ারা অববাহিকার ৬টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে সীমান্তবর্তী চার উপজেলার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সিলেটে ও সুনামগঞ্জে ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। রয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষ কিছুটা খাবার পেলেও বাড়িতে থাকা লোকজন রয়েছে তীব্র সংকটে।

সিলেট জেলার কুশিয়ারা অববাহিকার জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজারসহ ৬টি উপজেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি। জেলায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ১২ লাখ। টানা ৪ দিন ধরে পানিবন্দি থাকার কারণে বিশেষ করে খাবার সঙ্কটে পড়েছেন বন্যার্তরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬৯১টি আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা ২৫ হাজার মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করলেও বাড়িতে থাকা মানুষজন অনাহারে-অর্ধাহারে থাকছেন। 

সিলেট নগরে এখনও পানিবন্দি লাখো মানুষ। নগরের এক তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, পানি না কমায় নগরের পানিবন্দি মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ বাড়ছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার অনেক উপরে। সুরমার পানি ধীরে নামার কারণে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। 

এদিকে সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় ১ হাজার ৩০৫টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সুনামগঞ্জের প্রায় ৮ লক্ষাধিক মানুষ। পানিতে সবকিছু তলিয়ে যাওয়ায় ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, নগদ অর্থ, হাস-মুরগির খামার ও পুকুরের মাছ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেকে। 

আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৬৯৪টি। শুকনো খাবার, সুপেয় পানি, স্যানেটিশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে রয়েছেন বন্যা দুর্গতরা।

মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। জেলার প্রায় ৭ উপজেলার প্রায় ৩০টি ইউনিয়নের সহস্রাধিক গ্রামের প্রায় তিন লক্ষ মানুষ পানিবন্দি। জেলায় ২০৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন প্রায় ৭ হাজার মানুষ। তাদের সাথে প্রায় ৫ শতাধিক গবাদিপশুও রয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।

নেত্রকোনায় তিনটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। পানিবন্দি প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার্তদের ৩০টি পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দেয়া হচ্ছে শুকনো খাবার। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি