নোয়াখালীতে লুটের ৯৪টি অস্ত্র হস্তান্তর করলো সেনাবাহিনী
প্রকাশিত : ১৮:০৬, ১৩ আগস্ট ২০২৪ | আপডেট: ২১:১৬, ১৩ আগস্ট ২০২৪
৫ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানায় হামলার সময় লুন্ঠিত অস্ত্রগুলোর মধ্যে ৯৪টি অস্ত্র, প্রায় ৩হাজার রাউন্ড গুলি ও ৪১টি ম্যাগজিন’সহ পুলিশের ব্যবহৃত অনান্য মালামাল উদ্ধার করে পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছে সেনবাহিনী। তবে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলিগুলোর মধ্যে কিছু আগুনে পোড়া রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র ও গুলি’সহ অনান্য মালামাল চাটখিল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস এর কাছে হস্তান্তর করেন, ক্যাম্পের টুআইসি মেজর রিফাত আনোয়ার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানায় হামলার সময় হামলাকারীরা দুটি থানা থেকে অস্ত্র ও গুলি‘সহ মূল্যবান মালামল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা’সহ স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে লুন্ঠিত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে। পরবর্তীতে অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস বলেন, দুটি থানা থেকে লুন্ঠিত অস্ত্রগুলোর মধ্যে প্রায় ৭০ভাগ অস্ত্র ও গুলি ইতোমধ্যে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। বাকি অস্ত্রগুলো স্ব-স্ব থানায় ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে জমা দিতে সর্বসাধারণকে অনুরোধ করেছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর সোনাইমুড়ী বাইপাসে আনন্দ মিছিল করে শিক্ষার্থী’সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বিকেল ৫টার দিকে আনন্দ মিছিল থেকে সোনাইমুড়ী থানাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে থানায় হামলার চেষ্টা চালায় একদল দূর্বৃত্ত। ওইসময় থানার ছাদ থেকে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। এসময় হামলাকারীরা থানার ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে এবং পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা দুটি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় ও পরবর্তীতে থানায় ব্যপক লুটপাট চালানো হয়।
এসবি/
আরও পড়ুন