ক্লিনিকের অরক্ষিত বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে হাত কাটা গেল কলেজছাত্রীর
প্রকাশিত : ১২:০৫, ২০ অক্টোবর ২০২৪
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিদ্যুৎতায়িত হয়ে কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে বরণ করতে হয়েছে পঙ্গুত্তকে। এখন সে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সাথে লড়ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার সময় মেডিকেয়ার এন্ড হসপিসে। ক্লিনিকের ছাদে অরক্ষিতভাবে বিদ্যুৎ এবং এসির তার রেখে দেওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ আছে, এর আগেও ৪ থেকে ৫ জন রোগীর স্বজন একইভাবে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। ক্লিনিকের মালিক পক্ষ প্রভাশালী হওয়ায় বিভিন্ন সময় অনৈতিক কাজের জন্য পার পেয়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ উল্টো নিজেদের নির্দোষ দাবি করছে।
কলেজ পড়ুয়া মার্জিয়া আক্তার একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। আপন বড় বোনের সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য আসেন বরগুনার আমতলী উপজেলার আমতলী-কুয়াকাটা সড়কের ‘সময় মেডিকেয়ার এন্ড হসপিটালে’। বোনের ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয়েছে, সবাই আনন্দে আপ্লুত।
সেই শিশু সন্তান এবং বোনের কাপড় রোদে শুকানোর জন্য ১৪ অক্টোবর যান ওই ক্লিনিকের ছাদে। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে বিদ্যুতের তারে আটকে ধরে। তার কিছুটা দূরত্বে ছিল অন্য অরেক ছোটবোন, সে দেখে মার্জিয়া নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং কোমর-হাতে আগুন ধরে গেছে। তখন ছোট বোন চিৎকার দিলে লোকজন ক্লিনিকের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিলে মার্জিয়া লুটিয়ে পড়েন।
তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রথমে বরিশাল এবং পরবর্তীতে ঢাকায় স্থানান্তর করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
চিকিৎসার এক পর্যায়ে ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মার্জির ডান হাতের সম্পূর্ণ অংশ কেটে ফেলতে হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়া অংশে বড়বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনায় মার্জিয়ার স্বজনরা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আমতলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুল ইসলাম।
এএইচ
আরও পড়ুন