ঢাকা, বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

তিন দিন ধরে বেনাপোলে দূরপাল্লার বাস বন্ধ, নেই সমঝোতা

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:০০, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

তিনদিনেও কোন সমঝোতা না হওয়ায় বেনাপোল থেকে ঢাকাসহ দুরপাল্লার সকল পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পাসপোর্টযাত্রীদের। বিকল্প ব্যবস্থায় অনেকে বাড়ি ফিরছেন অতিরিক্ত খরচ করে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বেনাপোল থেকে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানের ৩ ঢাকাসহ অন্যান্য স্থান থেকে বেনাপোলগামী পরিবহনও অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি। জেলা প্রশাসনের সাথে বাস মালিকদের আলোচনা সভা হলেও কোন সমাধান হয়নি।

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তারা কেন যে ধর্মঘট ডেকেছে সে বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।

পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পর থেকে সকল পরিবহনের বাসগুলো পৌরসভার নির্দেশনা মত চলছিল। ঢাকা থেকে রাতে ছেড়ে আসা বাসগুলো যাত্রীদের বেনাপোল চেকপোস্টে নামিয়ে দিয়ে খালি বাস পৌর বাস টার্মিনালে চলে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বাসগুলো আসার পর বাসের যাত্রীদের জোরপূর্ব টার্মিনালে নামিয়ে দেয়া হয়। 

এ সময় যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এবং হয়রানির শিকার হয়। পরে সেই যাত্রীরা লোকাল বাসে করে চেকপোষ্টে পাঠান টার্মিনালের থাকা পৌরসভার লোকজন। 

কোন কিছু না জানিয়ে প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে বাস মালিক সমিতি তিন দিন ধরে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বেনাপোল, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল।

এদিকে আজ রোববার সকালে যশোর জেলা প্রশাসকের দপ্তরে উভয়পক্ষের মধ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই পক্ষই তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় কোন সমঝোতা হয়নি। 

প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে যানজট নিরসনে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা সাহেবের নির্দেশে এটা করা হয়েছে। উপদেষ্টার নির্দেশ ব্যতিত আমাদের পক্ষে কোন কিছু করা সম্ভব নয়। পৌর টার্মিনাল থেকেই যাত্রী ওঠাতে হবে এবং নামাতে হবে। 

অপরদিকে পরিবহন মালিক সমিতি থেকে বলা হয়েছে আগের নিয়মে বাস চলাচল করতে হবে। তা না হলে তারা বাস চলাচল বন্ধ রাখবে। 

পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা জানান, কয়েকদিন আগে শার্শা ইউএনও ও সুধী সমাজের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। সেখানে যানজট নিরসনে পরিবহনগুলো নতুন পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আমরা এই টার্মিনাল ব্যবহার করছি। তবে, যাত্রী হয়রানি ও নিরাপত্তার জন্য শেষরাতের দূরপাল্লার পরিবহনগুলো যেন সীমান্ত ঘেঁষা পুরনো টার্মিনালটি ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

জানতে চাইলে যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. নাজীব হাসান বলেন, কী কারণে তারা (পরিবহন মালিক-শ্রমিক) ধর্মঘট ডেকেছে, আমরা সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল নই। তাদের কোনোকিছু বলার থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে পারে।

এ ব্যাপারে বেনাপোল পরিবহন সমিতির সভাপতি বাবলুর রহমান বাবু জানান, প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পর কোন সমঝোতা হয়নি। যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ হয়রানির হাত থেকে রক্ষার জন্য আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছি। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি