পিরোজপুরে ফিরোজ হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত : ১৭:৪৮, ৩১ জুলাই ২০১৭
পিরোজপুরে পাঁচ বছর আগের এক হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত।
সোমবার পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিল্লুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১২ সালে ৫ এপ্রিল সদর উপজেলার কালিকাঠি গ্রামের যুবক ফিরোজ মাঝিকে (২২) হত্যার দায়ে এ রায় দেয় আদালত। আসামিদের সবার বাড়ি পিরোজপুর সদরের কালিকাঠী এলাকায়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামীরা হলো সাহিনুর রহমান শানু মোল্লা, রেজাউল খাঁ ও মিজান বেপারী। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরা হলো রেক্সোনা বেগম, নিজাম আকন, সুমন শেখ, ওমর ফারুক মিঠু, মামুন মাতুব্বর, লিমন তালুকদার ও মো. রাসেল। প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিদের মধ্যে আটজন উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শানু মোল্লা ও রেজাউল খাঁ পলাতক।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খান মো. আলাউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে উপজেলার ধুপপাশা এলাকায় ফিরোজ মাঝির বোন রিমু আক্তারের বিয়ে হয়। এর কয়েক দিন পর রিমিকে তাঁর স্বামীর কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে ফিরোজকে চাপ দেয় আসামিরা। কিন্তু ফিরোজ বিষয়টি মেনে না নিলে তাঁদের সঙ্গে আসামিদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর পর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল শিকদার মল্লিক এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল ফিরোজ মাঝির মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আর/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন