দিনাজপুরে বন্যায় ৮ শিশুসহ ১৪ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ০৯:০৫, ১৪ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৪৫, ১৪ আগস্ট ২০১৭
দিনাজপুরে বন্যার্তদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন সেনাসদস্যরা। ছবি : সংগৃহিত
ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের আরও কয়েটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। দিনাজপুরে চার উপজেলায় ২৪ ঘন্টায় বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে ৮ শিশুসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে; নিখোঁজ রয়েছেন ১ জন।
প্রবল বর্ষণ ও ভারতের বাঁধ খুলে দেয়ায় ভেঙে গেছে দিনাজপুর শহররক্ষা বাঁধ। এতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা। সেনাবাহিনীর সদস্যরা রোববার দুপুর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৯০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
কাহারোলে বন্যার পানিতে ডুবে একই পরিবারের ৪ শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলার ঈশ্বরগ্রাম থেকে কলার ভেলায় চড়ে ৩ সন্তান ও প্রতিবেশীর ১ সন্তানকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামে আসছিলেন আবদুর রহমানের স্ত্রী সোনাভান বেগম।
এ সময় কলার ভেলা উল্টে একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হল- বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামের আবদুর রহমানের মেয়ে চুমকি (১৩), শহিদ আলী (১০), সিয়াদ (৭) ও প্রতিবেশী সাঈদ হোসেনের ছেলে সিহাদ ও মালঝাড় এলাকার বাবলু রায়ের স্ত্রী দিপালী রায় (৩২)। অজ্ঞাত আরেকজন সাপের কামড়ে মারা গেছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেদোয়ানুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, সদর উপজেলার বেংকালী গ্রামের মোস্তফার ছেলে রাশেদ, বালুবাড়ীর ডিপিপট্টি এলাকার মেহেদী হাসান (১৫), বালুবাড়ী ঢাকাইয়াপট্টি এলাকার শফিকুল ইসলাম (৩৮), রাজবাটী এলাকার নাঈম (১৬) বন্যার পানিতে মারা গেছে। সদরের দরবারপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৫৫) পানিতে ডুবে মারা যায়। নিখোঁজ রয়েছে একজন। বীরগঞ্জ উপজেলায় ১ জন শিশু মারা গেছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম ১৪ জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনী বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তাৎক্ষনিকভাবে সবার নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
//এআর
আরও পড়ুন