পটুয়াখালীর বাউফলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
প্রকাশিত : ১৮:২৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:০০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঈদের দিন সকালে পটুয়াখালীর বাউফলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী (১৯)। রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে আজ শনিবার দুপুরে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কবির হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে ন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন মা’কে দেখতে যান ওই তরুণী। আজ ভোরে হাসপাতাল থেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। প্রথমে শহরের পুরান বাজার থেকে খেয়া পার হয়ে লোহালিয়া ঘাটে আসেন তিনি। এরপর সেখান থেকে ভাড়ার মোটরসাইকেলে দশমিনায় নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে পাঁচ যুবক মোটরসাইকেলটির গতি রোধ করে। তারা তরুণীর মুখ চেপে ধরে আধা কিলোমিটার দূরের এক পরিত্যক্ত ভিটায় নিয়ে তারা তাকে ধর্ষণ করে। তরুণীর চিৎকারে স্থানীয় কয়েকজন যুবক এগিয়ে গেলে ওই পাঁচ যুবক পালানোর চেষ্টা করেন। তখন কবিরকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির দাবি করেন, তিনি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার সন্দেহভাজন হলেন জাফর গাজী (৩০), মিজান সরদার (২৪), সিদ্দিক (৩০) ও মনজু (২৮)। তারা সবাই ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী গণমাধ্যমে বলেন, তরুণী বাদী হয়ে পাচঁজনের নামে মামলা দায়ের করেন। একজনকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। বাকিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে। তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন