শনিবার ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে ঈশ্বরদী-পাবনা রুটে
প্রকাশিত : ২১:৪৬, ১৩ জুলাই ২০১৮
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে পাবনাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। পাবনায় রেললাইন স্থাপন হওয়ায় পাবনাবাসীর মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সীমা নেই। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করায় পাবনার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শনিবার (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নতুন রেললাইনের উদ্বোধন করবেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনার পুলিশ লাইন মাঠে জনসভার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে পাবনায় রেলপথ ও ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।’
তিনি আরও জানান, ঈশ্বরদীর মাঝগ্রাম হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৭৮ কিলোমিটার নতুন রেললাইনের মধ্যে ২৫ কিলোমিটার ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। বাকি ৫৩ কিলোমিটার দ্বিতীয় ধাপে শেষ হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী-২ আরিফ আহম্মেদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করে উদ্বোধনের পর ট্রেনটি ‘পাবনা এক্সপ্রেস’ নামে পাবনা রাজশাহীর পথে চলবে। উদ্বোধনের দিন ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি নিয়ে পাবনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত চলাচল করবে। পরবর্তীতে পাবনা-রাজশাহীর মধ্যে চলাচল করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ঈশ্বরদী-পাবনা-রাজশাহীর রেলপথে ৪২৩ যাত্রীধারণ ক্ষমতার এ ট্রেনে থাকবে এসি সিগ্ধা, চেয়ার কোচ, ননএসি ও শোভন।
ঈশ্বরদী থেকে প্রতিদিন ট্রেনটি ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে পাবনা পৌঁছাবে ৬টা ৪৫ মিনিটে।এরপর পাবনা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছাবে সকাল ৯টা ৩০মিনিটে।
পরে রাজশাহী থেকে পাবনার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে। পাবনা পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে। এরপর ট্রেনটি পাবনা থেকে রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে ঈশ্বরদী পৌঁছাবে রাত ৯টায়।
২০১০ সালের ৫ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নিবার্হী কমিটির বৈঠকে এ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৯৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা।
২০১৩ সালে ২ ফেব্রুয়ারি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) নাজমুল ইসলাম বলেন, এই রেলপথ চালু হলে উত্তরাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। ব্যবসা বাণিজ্যে গুণগত পরিবর্তন ঘটবে। কম সময়ে কম খরচে যাতায়াত করবে এই অঞ্চলের জনগণ
কেআই/এসি
আরও পড়ুন