নবাবগঞ্জ আশুড়ার বিলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান
প্রকাশিত : ২৩:৩৭, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আশুড়ার বিলে দীর্ঘদিনের অবৈধভাবে দখল করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
গত সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান ভ্রাম্যমান আাদালত পরিচালনা করে বিলে থাকা অবৈধ স্থাপনা ও বাঁশের খুটি দিয়ে বিলের সৌন্দর্য ধংস করে এলাকার একটি সুবিধাবাদী মহল ভোগ দখল করে আসছে।
ভ্রাম্যমান আদালত বিলটির সৌন্দর্যের ও দেশী প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে অভয়াশ্রমের এ অভিযান পরিচালনা করে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামিম জানান, স্থানীয় মৎস্যজীবীরা ওই বিলটিতে মাছ শিকার করে আসছিল। উত্তর জনপদের দেশী প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে ও মা মাছের বংশ বিস্তারের জন্য সরকারিভাবে তিনটি অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় উদ্যানের আধুনিকায়নে প্রকল্প গ্রহণ করে প্রস্তাব প্রেরণসহ আশুড়ার বিলটিকে দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করতে এমন অভিযান অব্যহত থাকবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান জানান।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আশুড়ার বিলে মৎস্য চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি উদ্যোগে আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য উৎপাদনে বিস্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে আশুড়ার বিলের মাছ উত্তরাঞ্চলের চাহিদা মিটাতে পারবে। বিশাল এলাকাজুড়ে আশুড়ার বিলটি এখন অনেকটা ভরাট হয়ে মৎস্য চাষের উপযোগী পরিবেশ নষ্ট হয়ে কৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মৎস্য অধিদফতরের অবহেলার কারণে বিলের পার্শ্ববর্তী অবৈধ দখলকারীরা বীজতলা তৈরিসহ অনেক স্থান ভরাট করছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় জেলার একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত আশুড়ার বিল। মৎস্য আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে অভয়াশ্রমে রক্ষিত হারিয়ে যাওয়া দেশি প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারের প্রজনন নিরাপদ স্থান ঐ আশ্রম থেকে প্রকাশ্যে দিনে রাতে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে ডিমওয়ালা মাছ। আশুড়ার বিলে দেশি প্রজাতির মাছগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বোয়াল, শিং, কৈ, মাগুর, শোল, টাকি, সরপুটি, পাবদা, চিংড়ি, মায়া, চান্দামাছ সহ দেশীয় অনেক প্রজাতির মাছ রয়েছে।
কেআই/এসি
আরও পড়ুন