দোহারে ফয়সাল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশিত : ২০:১৫, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ঢাকার দোহার উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে ফয়সালকে (১৭) পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। তাদের সঙ্গে একত্বতা প্রকাশ করেন উপজেলা ছাত্রলীগ ও সরকারি পদ্মা কলেজের শিক্ষার্থীরা। ফয়সাল উপজেলার সরকারি পদ্মা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও মুকসুদপুর ইউনিয়নের শান্তিনগরের প্রবাসী মো. মজনু শেখের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সরকারি পদ্মা কলেজের প্রধান ফটক থেকে প্রায় আধাঁ কিলোমিটার সড়কে এ বিক্ষোভ ,মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা। এ হত্যাকান্ডকে ঘিরে মুকসুদপুর-শাইনপুকুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গত বুধবার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার শাইনপুকুর তিনদোকান ফরিদ মিয়ার খামারের সামনে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল (১৮) কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘ তিন বছর পূর্বে দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের মজনু শেখের ছেলে নিহত ফয়সালের বড় ভাই রিপনের সঙ্গে পাশ্ববর্তী শ্রীনগর উপজেলার বরিবরখোলা এলাকার শেখ মনাইয়ের কন্যা মুন্নি আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয়। পারিবারিক বনিবনা না হওয়ায় বছর খানেক পর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উভয় পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। বুধবার বিকেলে ফয়সাল স্থানীয়ভাবে আয়োজিত একটি ফুটবল খেলার মাইকিং করতে শাইনপুকুর এলাকায় গেলে মুন্নির পরিবারের লোকজন ফয়সালকে পিটিয়ে হত্যা করে।
বুধবার রাতে নিহতের মা বানুতাজ (৪০) বাদী হয়ে নয়জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দোহার থানায় নয়জনকে এজাহার নামীয় ও সাত থেকে আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এসএইচ/
আরও পড়ুন