ভিডিও
গ্রামে বাস করলেও রাজধানীতে রয়েছে ১৫টি ভূতুরে মামলা
প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার তিনগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ। ১ টি চৌচালা টিনের ঘর, বৃদ্ধা মা, ছেলে ও মেয়ে নিয়ে তার সংসার। গ্রামে বসবাস করলেও, ঢাকার বিভিন্ন থানায় তার নামে রয়েছে ১৫টি মামলা। ৬০ বছর বয়সী হামিদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে চুরি, ডাকাতি, লুটপাটসহ নারী নির্যাতনের মামলা। পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, পৈত্রিক জমি দখলের জন্য চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এ’সব ভুতুড়ে মামলা দিয়েছেন ।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ জানান, একটা জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে সমস্যা। দাদার সম্পত্তি ওরাও যা পাবে, আমরাও তা পাবো। মামলার ব্যাপারে আব্দুল হামিদ বলেন, ওনার কাছে বিভিন্ন যেই মামলা যায়, সেই মামলাতেই আমাকে আসামি করে দেয়। এ রকম অনেক মামলার আসামি করে দিছে, এ সব মামলায় আমি এখন র্জজরিত।
মিথ্যা মামলা ও হেনস্থার ব্যাপারে এলাকাবাসী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, অ্যাডভোকেট মাহবুব একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক। এলাকার মানুষের সঙ্গে তার কোনও সুসর্ম্পক নেই। ঢাকায় বসে গ্রামের মানুষকে নানা রকম মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্থা করছে। এ ব্যাপারে আরেকজন বলেন, জায়গা নিয়ে ভাই ভাইয়ে সমস্যা থাকতেই পারে, কিন্তু সে জন্য কাউকে মামলা দিয়ে হেনস্থা করা ঠিক না।
জানা যায়, পুলিশের তদন্তেও এ সব মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) এক র্কমর্কতা জানান, তার ব্যাপারে একাধিক মামলার কথা জেনেছি, তবে তার নামে দেওয়া এ সব মামলার কোনও প্রমাণ পাইনি।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে ফোনে বলেন, মামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলেন, এই ব্যাপারে কথা বললে আমি নিজেই বিপদে পরে যাবো। কারন এই মামলার সাক্ষী হবে কছিুদনি পরেই। ওদের শক্তি হচ্ছে দা, বটি, লাটি ছুড়ি, আর আমার শক্তি হলো কলম।
একে//
আরও পড়ুন