চুল- এখন আর ফেলনা নয় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১০, ১ অক্টোবর ২০১৮
চুল- এখন আর ফেলনা নয়। কালের বিবর্তনে, মাথা আঁচড়ানোর পর ফেলে দেয়া চুল প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে শিল্পপণ্যের উপকরণ হিসেবে। হচ্ছে রপ্তানীও। চুয়াডাঙ্গায় গড়ে উঠেছে এমনই কয়েক শ’ চুল প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা। কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো পরিবারের। মানভেদে প্রতিকেজি চুল বিক্রি হয় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায়।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা, চন্দ্রবাস, কুতুবপুর ও মুন্সীপুরসহ আশপাশের এলাকায় চুল প্রক্রিয়াজাতের এমন কারখানা রয়েছে আড়াই শ’রও বেশি। বাড়িবাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা চুল মেশিনে বাছাইয়ের পর ধুয়ে-পরিষ্কার করে, বান্ডিল তৈরি করা হয়। এ কাজে জড়িয়ে আছে অন্তত কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। চুলের কারখানায় কাজ করে কিছু রোজগার হচ্ছে অনেক দরিদ্র পরিবারের।
এক কেজি চুল প্রক্রিয়াজাত করলে, ৭শ’ গ্রামের মতো হয়। প্রক্রিয়াজাত চুলের বাজারমূল্য কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। রপ্তানী হয় চীন-কোরিয়াসহ বিভিন্নদেশে। উন্নতমানের পরচুলা, টুপিসহ নানা পণ্য তৈরিতে এসব চুলের কদর রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা চুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাসিবুজ্জামান শহিদ বলেন, এগুলো প্রসেসিং করে আমরা এটা বাজারজাত করি ঢাকার উত্তরায়। ওখানে চুলগুলো নিয়ে গেরে বায়াররা কিনে নেয়।
লাভজনক হওয়ায় চুলের ব্যবসায় ঝুঁকেছেন অনেকেই। এভাবে, অন্যান্য বর্জ্য থেকেও রফতানীযোগ্য পণ্য তৈরির উদ্যোগ নেয়া হলে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, চায়নাতে চুল রপ্তানী করার পর তারা প্রোডাক্ট তৈরী করে, এগুলো আমরা এখানে তৈরী করতে পারি কিনা দেখছি। এসব প্রোডাক্ট তৈরী করে ইউরোপে রপ্তানী করতে পারলে আমাদের এখানের মানুষের ইনকাম অনেক বেশি হবে।
এছাড়াওআধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব চুল কারখানা থেকে আরো মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের আশা সংশ্লিষ্টদের।
আরও পড়ুন