ঠাকুরগাঁওয়ে বন্ধ হচ্ছে না বাল্য বিয়ে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৬:০৭, ২৭ নভেম্বর ২০১৮
ঠাকুরগাঁওয়ে বন্ধ হচ্ছে না বাল্য বিয়ে। সামাজিক কুসংস্কার, নিরাপত্তার অজুহাতে যাদের বিয়ে দেয়া হয়েছিল তারা অনেকেই নির্যাতনের শিকার অথবা স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে অসহায় জীবন কাটাচ্ছেন। বাল্য বিয়ে রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চলছে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি।
মাত্র ১১ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় পারুলের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য পারুলের উপর শুরু হয় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির নির্যাতন। এক পর্যায়ে সইতে না পেরে চলে আসেন বাবার বাড়ি। তারপর একযুগ ধরে ছেলেকে নিয়ে চলছে পারুলের সংগ্রামী জীবন।
হাসিনা, নাজনীম সবার গল্প অনেকটা একই রকম। বাল্য বিয়ের পর তারা এখন বাবার বাড়িতে। এখানেও পরতে হয় নানা বিড়ম্বনায়।
ঠাকুরগাঁও জেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক কিশোরী বাল্য বিয়ের শিকার হয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে। অল্প বয়সে সংসারের বোঝা মাথায় নিয়ে অকালে বার্ধ্যকর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। কেউ কেউ বেছে নেন আতœহত্যার পথ।
কুসংস্কার, দারিদ্রতা, অশিক্ষা, ও সচেতনতার অভাবে বাল্য বিয়ে রোধ করা যাচ্ছেনা ।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানান বাল্য বিয়ে বন্ধে বাবা-মা ও কিশোর কিশোরীদের নিয়ে বিভিন্ন সচেতনমূলক সভা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ বাল্য বিয়ে বন্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।
আরও পড়ুন