নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে নেত্রকোনার ৫ শতাধিক বাড়িঘর
প্রকাশিত : ০৯:৩০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৮:৪৮, ২৮ মার্চ ২০১৭
সোমেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের ৮টি গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক বাড়িঘর। আরও শতাধিক ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এদিকে প্রতি মুহুর্তে অনিশ্চয়তার মধ্যে বসবাস করছে বরিশালের কীর্তনখোলা ও জয়ন্তী নদীর তীরবর্তী মানুষেরা। হুমকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। শুকনো মৌসুমে নেত্রকোণার সোমেশ্বরী নদীতে চর থাকলেও, বর্ষার শুরু থেকেই পাহাড়ী ঢলে শুরু হয় ভাঙ্গন। আর প্রতিবছরই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয় বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। সোমেশ্বরীর ভাঙনে কুল্লাগড়া, শিবগঞ্জ, দাখিনাইল ও চন্ডিগড়সহ প্রায় ৮টি গ্রামের ৫ শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। ভিটে হারিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মাথা গুজেছে অনেক পরিবার। সর্বস্ব হারানো নদী পাড়ের মানুষগুলো তাই স্থায়ী সমাধানে সরকারী সহায়তা চেয়েছেন। নদী ভাঙ্গন রোধে এরইমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। এদিকে ভাঙন আতঙ্কে বরিশালের জয়ন্তী ও কীর্তনখোলা নদী পাড়ের সফিপুর ও চরকাউয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা না হলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এসব অঞ্চল। নদী ভাঙ্গন রোধে জেলার ১০টি স্থানে নদী তীর রক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙ্গন রোধে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি নদীপাড়ের মানুষের।
আরও পড়ুন