মদ্যপানে রাবির ২ শিক্ষার্থী ও রাশিয়ান প্রকৌশলীর মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৭:৪১, ৭ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ০৮:৪১, ৮ এপ্রিল ২০১৯
‘বিষাক্ত’ মদপান করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের রাশিয়ান একজন প্রকৌশলী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর।
পৃথক ঘটনায় আরও দুই রাশিয়ান প্রকৌশলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহীর সিডিএমএ হাসপাতালে এবং রুয়েটের এক ছাত্রকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত রাশিয়ান হলেন, ঈশ্বরর্দী রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের প্রকৌশলী বেলি দিমেত্রি (৪১)। আহত রাশিয়ান নাগরিকরা হলেন মিশা (৪০) ও লেবা (৪৫)।
অপরদিকে, নিহত রাবি শিক্ষার্থীরা হলেন আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও দৌলতপুর থানার কবির আলম খানের ছেলে মুহতাসিম রাফিদ খান এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেমরারর ছোট রাউতরা গ্রামের পুনেন্দ্র রায়ের ছেলে তুর্য রায়।
আরএমপির মুখপাত্র সহকারি পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বলেন,ওই তিন রাশিয়ান নাগরিক পাবনার ঈশ্বরদীতে মদপান করেন। শনিবার গভীর রাতে তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের রাশিয়ান প্রকৌশলী বেলি দিমেত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ান নাগরিকটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা এলকোহল সেবন করেছিলেন। দুইজন রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আরএমপির তরফ থেকে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মদে কোনো বিষাক্ত পদার্থ ছিল কী না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মদে কোনো বিষাক্ত পদার্থ থাকতে পারে।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থী শনিবার রাতে মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এঘটনায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর এক শিক্ষার্থীকেও অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার নাম ও বিভাগ পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাকে হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ইফতেখায়ের আলম বলেন, শুক্রবার রাতে এই তিন শিক্ষার্থী মিলে মদপান করেন। বিষাক্ত মদপানের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে রামচন্দ্রপুর এলাকার বাশার রোডের এনএন ছাত্রাবাসে তিনজনের অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে ভোর ৪টার দিকে তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে মেসের অন্য ছাত্ররা। হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই মুতাসিম মারা যান। এরপর সকাল ৮টার দিকে মারা যায় তূর্য। অপর শিক্ষার্থী রুয়েটের রকি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির বলেন, নিহত মুহতাসিম ছালছাবিল মেসে ও তুর্য সাইদ টাওয়ারের মেসে থাকতেন। আরেকজন অসুস্থ রুয়েট শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, তারা তিনজনে এক জায়গায় বসে মদপান করে। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে মেসের অন্য সদস্যরা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই সহকারী প্রক্টর।
কেআই/
আরও পড়ুন