পদ্মাসেতু নিয়ে স্বপ্নে বিভোর নদীপারের মানুষ
প্রকাশিত : ১৬:৫১, ১৭ এপ্রিল ২০১৯
প্রমত্তা পদ্মার উত্তাল বুক চিরে এখন দৃশ্যমান স্বপ্নের সেতু। পদ্মা সেতু ঘিরে স্বপ্ন দেখছে নদী পারের মানুষেরা। এটি নিছকই একটি অবকাঠামো নয়, একটি স্বপ্ন। দু’পারে গড়ে উঠবে কলকারাখানা, কর্মসংস্থান হবে স্থানীয়দের। একসময়ের অন্ধকার গ্রামে জ¦লবে আলো। আলোর পথে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পরিবর্তন আসবে মানুষের জীবনে-এই স্বপ্নই তাদের চোখেমুখে। পদ্মা তীরবতী দূর গ্রাম ও জনবসতি ঘুরে মানুষের প্রত্যাশা ও বাস্তবতার কথা জানাচ্ছেন, মুহাম্মদ নূরন নবী।
প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে সিরাজ মিয়াদের ট্রলারে, মায়ের হাত ধরে, বিপদসঙ্কুল পথ পাড়ি দিয়ে নিয়মিত স্কুলে যেতে হয়, এই শিশুটির। তার মতো অনেক শিশুর স্কুল যাত্রা এভাবেই।
যেতে যেতে, চোখে আসে পদ্মাসেতুর নির্মানযজ্ঞ। অভিভাবকরা আশায় বুধ বাধে, আরতো মাত্র অল্প কটা দিন।
শিক্ষালয়ে যাবার অবারিত পথ খুলে যাচ্ছে,নতুন প্রজন্মের কাছে।
গায়ের মাঝি, জেলে, কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষরাও দেখছেন, নতুন দিনের সূচনার কাল হিসেবে।
পণ্য বিক্রি করতে, রাজধানীসহ দূর শহরতলীতে যেতে আর কোন ভোগান্তি থাকবে না। লাভের পাল্লাও ভারি হবে ষোল আনা। বাঁচবে সময়-আসবে স্বস্তি।
এখন নিয়মিত চায়ের আড্ডার বিষয়, পদ্মা সেতু ঘিরে। কল্পনাতীতভাবে বেড়েছে জমির দাম। গড়ে উঠবে শিল্প কলকারখানা।
আবারো সন্ধ্যা নামে পদ্মার পাড়ে। সুনশান নিরবতা নামলেও পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক অর্থনীতি আলো জ¦ালিয়ে রাখে পদ্মা পাড়ের মানুষকে। যার বাস্তবায়ন এখন শুধু সময়ের ব্যপার মাত্র।
আরও পড়ুন