নুসরাত হত্যা
শাস্তির আওতায় আসছে ফেনীর এসপি
প্রকাশিত : ২১:৩৬, ১১ মে ২০১৯ | আপডেট: ২১:৩৮, ১১ মে ২০১৯
নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানি ও পরবর্তীতে তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অবহেলার দায়ে ফেনীর সোনগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাময়িক বরখাস্ত করার পর এবার শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে ফেনীর পুলিশ সুপারকে। বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানিয়েছেন, নুসরাত হত্যার পর গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তার বিষয়টি বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তাকেও একটি ইউনিটে সংযুক্ত করা হবে। নুসরাত হত্যার ঘটনায় সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে এখন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি’র কার্যালয়ে যুক্ত করা হয়েছে।
সহকারী মহাপরিদর্শক আরও জানান, বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অভিযুক্ত এসআই (নিরস্ত্র) মো. ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় এবং এসআই(নিরস্ত্র) মো. ইকবাল আহাম্মদকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
সংযুক্ত ও বদলি এ দুটি ভিন্ন বিষয় বলে জানান,পুলিশের এই উর্ধতন কর্মকর্তা। সংযুক্তি হলো শাস্তিমূলক একটি ব্যবস্থা। এসময় কর্মকর্তাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হয় না।
উল্লেখ্য, ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে কেরসিন ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে চাপ দিলেও কোন ফল না হওয়ায় অধ্যক্ষের পক্ষে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।
এমএস/কেআই
আরও পড়ুন