ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সুন্দরবন ও কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬

প্রকাশিত : ১২:২০, ২৯ মে ২০১৯ | আপডেট: ১২:২৭, ২৯ মে ২০১৯

সুন্দরবন ও কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ও মঙ্গলবার রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জলদস্যু হাসান বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি র‌্যাবের।

বুধবার সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া খালে র‌্যাব-৮ এর সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধে এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

মোবাইলে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং।

ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে র‌্যাব টহল শুরু করলে বনদস্যু হাসান বাহিনী র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।

এ সময় র‌্যাবও পাল্টাগুলি ছুড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটে। পরে র‌্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে হাসান বাহিনীর চার দস্যুর মরদেহ উদ্ধার করে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, এ বিষয়ে পরে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে কুমিল্লায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রুবেল (৩৪) ও সেলিম (৩৬) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জেলার চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার নাটাপাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

বিজিবির দাবি, নিহতরা বিজিবি ও পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। নিহত রুবেল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগাঁও গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে এবং সেলিম একই উপজেলার শালুকিয়া (আদর্শগ্রাম) গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে।

বিজিবি সূত্র জানায়, পৌর এলাকার নাটাপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী রুবেল ও সেলিমসহ তাদের সহযোগীরা অবস্থান করছে, এমন গোপন খবর পেয়ে বিজিবি সেখানে অভিযান চালায়।

মাদক ব্যবসায়ীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে রুবেল ও সেলিম গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যান।

পরে আহত মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।

তিনি জানান, ঘটনার পর তাদের কাছ থেকে দুই হাজার ১৫৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা হয়েছে।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি