ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ অক্টোবর ২০২৪

কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চান বাবা-মা

প্রকাশিত : ১৮:১৪, ৩০ জুন ২০১৯

পাবনায় ধর্ষণের পর এক মাদ্রসা ছাত্রীকে হত্যার বিচার চাইলেন অসহায় নিহতের বাবা ও মা। ঘটনার পর ২৬ অতিবাহিত হলেও মামলার আসামী ধর্ষক ও ঘাতক শাহাদাতকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়নি পুলিশ। আসামী প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ভূক্তভোগী পরিবার।

জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার ঝপঝবিয়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিন মোল্লার মেয়ে আমেনা খাতুন (১৪) র্দীঘদিন ধরে একই এলাকার শাহাদত হোসেনের স্ত্রী জহুরা খাতুনের কাছে আরবী পড়তো। গত ৬ জুন সকালে প্রতিদিনের মতো আমেনা খাতুন আরবী পড়তে যায় জহুরা খাতুনের কাছে। এ সময় জনশূন্য বাড়িতে জহুরা খাতুনের স্বামী শাহাদত হোসেন তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ না করতে আমেনাকে ভয়ভীতি দেখায় শাহাদত।

পরে বিষয়টি প্রকাশ পেলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আমেনার পরিবারকে স্থানীয় শালিসে সুরাহা করার আশ্বাসও দেয়। এর পরদিন দুপুরে আমেনাদের বাড়িতে তাকে একা পেয়ে আবারও তাকে ধর্ষণ করে। বিকেলে বাড়ি ফিরে আমেনা খাতুনকে ঘরে ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান তার মা ও বাবা। আমেনা খাতুন শরৎগঞ্জ রইজ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী।

এ ঘটনায় ৭জুন নিহতের মা তারা খাতুন বাদী হয়ে শাহাদত হোসেনকে একমাত্র আসামী করে চাটমোহর থানায় মামলা দায়ের করেন। তারা খাতুন আক্ষেপ করে বলেন,‘আমরা গরিব বলে কি কোন বিচার পাবো না? মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষের লোকজন হুমকী দিচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।’

নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী আমেনা খাতুনের স্বজনেরা জানান, পুলিশের সহায়তা চাইলে পুলিশ কোন সহযোগিতা করে না। আসামী জন সম্মুখে ঘুরে বেরায় পুলিশ তাকে অঞ্জাত কারণে ধরে না।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ কর্মকর্তা সামছুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশী তৎপরতা চলছে।

এমএস/কেআই


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি