ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়লেন ৭ ভিক্ষুক
প্রকাশিত : ২০:৫৬, ৫ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ২১:০৩, ৫ জুলাই ২০১৯
এখন থেকে আর ভিক্ষাবৃত্তি করতে হবে না ৮০ বছর বয়সী আমেনা বেগমকে। আমেনা বেগমের সঙ্গে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্তি পেলেন টংলী বেওয়া, সবুরা বেগম, ইমাম আলী, ভেংলু খাতুন, নিজাম উদ্দীন, খোরো মোহাম্মদসহ সাতজন। এদের মধ্যে চারজন এখন ক্ষুদ্র মুদি দোকান ব্যবসায়ী। ছাগল পালন করবেন তিনজন। এই সাতজনের সবার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। এদের সবাই ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন জীবনধারণ করে আসছিলেন।
ভিক্ষাবৃত্তি পেশা থেকে তাদেরকে চিরতরে মুক্তি দিতে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সমাজসেবা অফিস ও উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ওই সাতজনের মাঝে ২৫ হাজার টাকা মূল্যের মুদি দোকান ও একই মূল্যের চারটি ছাগল তুলে দেন রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।
এ উপলক্ষ্যে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম,জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. ফিরোজ সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা উপজেলা পাড়িয়া ইউনিয়নের নবনির্মিত ভূমি অফিস এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী হরিণমারী আম গাছের রেস্ট হাউজের শুভ উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভিক্ষুক পুনবার্সন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় এক জরিপ থেকে খুজে বের করে জেলার চার হাজার ১০জন ভিক্ষুকের মধ্যে ইতোমধ্যে ৯শ’৬৩ জনকে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলতি মাসে চার উপজেলায় আরও ৫৮ জন ভিক্ষুককে ক্ষুদ্র মুদি দোকান এবং ৪টি করে ছাগল দিয়ে পুণবার্সনের ব্যবস্থা করা হবে। এসব অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের অর্থ দিয়ে।
এমএস/কেআই
আরও পড়ুন