ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রিফাত হত্যা

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্নিকে নিয়ে গেছে পুলিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৮, ১৬ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৪:১৫, ১৬ জুলাই ২০১৯

অবশেষে বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা পৌরসভার মাইট এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। এসময় মিন্নির সঙ্গে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।

তিনি জানান, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার মিন্নিকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। এ মামলায় তিনি ১ নম্বর সাক্ষী। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনা পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে।

মিন্নির বাবা জানান, রিফাত হত্যায় জড়িত এক অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে। কাজ শেষ হলেই মিন্নিকে বাড়ি ফিরে যাবে।

প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে স্ত্রীর সামনে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা।

তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।

কিন্তু হত্যাকাণ্ডের সময়কার সিসিটিভির দ্বিতীয় ভিডিও প্রকাশ পেলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় যে- ঘটনার সঙ্গে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত থাকতে পারে, তাই তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

এদিকে এ ঘটনায় মিন্নির শশুর এক সংবাদ সম্মেলনে একই দাবি করেন। এরপর মিন্নিও একটি সংবাদ সম্মেলন করেন এবং শশুরের দাবি মিথ্যা বলে জানান।

রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিন জনসহ সাত আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি