মঠবাড়িয়ায় ফাঁদ পেতে পাখি শিকার
প্রকাশিত : ২২:৫৩, ২৯ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ২৩:১৪, ২৯ জুলাই ২০১৯
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার শৌলা গ্রামের রসু মিয়া নানা প্রজাতির পাখি শিকার করে বিক্রি করছেন। এ ধরনের পাখি শিকার আইনত অপরাধ হলেও তিনি অবাধে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে যাচ্ছেন। যা প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
রসু মিয়া নাগ্রাভাংগা প্রাইমারি স্কুলের সামনে দিয়ে পাখি শিকার করে যাওয়ার সময় দেখা যায়, তার হাতে অনেকগুলো পাখি রয়েছে। কেন তিনি পাখি শিকার করেছেন? এটা ঠিক কি না জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বলেন, দেশীয় পাখি ধরাও যায়, খাওয়াও যায়। পরে তিনি বলেন, পাখি ধরা অপরাধ। এটা ঠিক কাজ না।
এক ধরনের লোহার পাত দিয়ে তৈরি ফাঁদ পেতে তিনি পাখি শিকার করে থাকেন। একটি শিকারি পাখি দিয়ে তিনি এই ফাঁদ পাতেন। ফলে অনায়াসে অন্য পাখিরা তার জালে ধরা দেয়। এরপর তিনি সেগেুলো বাজারে ও গ্রামে বিক্রি করেন।
এভাবে পাখি শিকার করলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। হারিয়ে যাবে নানা প্রজাতির পাখি। রসু মিয়া পাখি শিকার করা অপরাধ এটা মেনে নিয়ে তিনি পরে তার হাতে থাকা পাখিগুলো ছেড়ে দেন। এবং আর এভাবে পাখি শিকার করবেন না বলেও জানান।
তবে স্থানীয়রা বলেন, এভাবে পাখি শিকার বন্ধে মঠবাড়িয়া প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। অন্যথায় প্রকৃতির বিপর্যয় ঘটবে।
এসি
আরও পড়ুন