‘ডাক্তার ও পুলিশ মিথ্যা ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন দিয়েছে’
প্রকাশিত : ২১:৪৮, ১ আগস্ট ২০১৯
চুয়াডাঙ্গার হাসানহাটি গ্রামে হেদায়েত আলীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সদর হাসপাতালের সাবেক সিভিল সার্জনসহ চিকিৎসকরা আদালতে মিথ্যা ময়নাতদন্ত ও পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব সুরাতহাল প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন নিহত হেদায়েতের স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের ছেলে আক্তার হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ১৯ জুন রাতে একদল দুস্কৃতিকারী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার পিতার (হেদায়েত আলী) উপর হামলা করে। পরে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এরপরের দিন ময়নাতদন্ত শেষে তার পিতার মৃতদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। তিনি (আক্তার হোসেন) জগিতদের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ কাদের, বোমা মাসুদ, শাহীন আলী ও শহিদুলের নাম উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করে। অন্যদের বিষয়ে এড়িয়ে যায় পুলিশ বলে অভিযোগ করেন হেদায়েত।
তিনি জানান, পরবর্তীতে আদালত থেকে হাসপাতালের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তুলে তারা জানতে পারেন হেদায়েতের মৃত্যুর আগের সময় ময়নাতদন্তের সময়কে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কি চিকিৎসকরা তার পিতার জীবিত থাকাবস্থায় ময়নাতদন্ত করেছে বলে প্রশ্ন তোলেন আক্তার।
হেদায়েতের শরীরে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন থাকলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। মৃতের সুরতহালের প্রতিবেদন লেখেন সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা অচিন্ত কুমার। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কোন আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ না করায় নিহতের দেহ স্বাভাবিক ছিল বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে আক্তার হোসেন বলেন, ‘সদর হাসপাতালের তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাক্তার এ কে এম খাইরুল আলম, সদর হাসপাতালের ডাক্তার আবুল হোসেন ও ডাক্তার শামীম কবির ও পুলিশ অফিসার অচিন্ত কুমার আমার পিতার হত্যাকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করে এ মিথ্যা ময়নাতদন্ত আদালতে পেশ করেছে। বর্তমানে আসামীরা উচ্চ আদালতে জামিন পেয়েছে। আমি ও আমার পরিবার এখন অসহায়। অবিলম্বে আমি সাবেক সিভিল সার্জনসহ ডাক্তার ও অসাধু পুলিশের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ‘
এমএস/এসি
আরও পড়ুন