মসজিদের টাকা ব্যয়ে গোঁজামিলের অভিযোগ
প্রকাশিত : ০০:০৫, ৫ আগস্ট ২০১৯
ঝালকাঠির ইছানীল জামে মসজিদের উন্নয়নে সাবেক এক মন্ত্রীর সুপারিশে জেলা পরিষদের বরাদ্ধকৃত ২লাখ টাকার প্রায় অর্ধেক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহআলম ফারসু খান টেন্ডার-কাগজপত্র ও অফিসের খরচের কথা বলে ৯০হাজার টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে মসজিদ কমিটি দাবী করেছে।
অন্যদিকে কাউন্সিলর শাহআলম ফারসু খানের দাবী, আমি টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পেয়ে নিজে কাজ করে বিল তুলেছি তাই মসজিদ কমিটি টাকা দেয়ার কথা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহাবুব খলিফা জানায়, ইছানীল জামে মসজিদের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য সাবেক শিল্পমন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেনের আমু এমপির সুপারিশে জেলা পরিষদ থেকে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে টেন্ডারের মাধ্যমে ২লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। পরবর্তীতে উক্ত কাজের টেন্ডার কাউন্সিলর শাহআলম ফারসু খান পেয়ে মসজিদ কমিটিকে ১লাখ ১০হাজার টাকা দিয়ে বাকী ৯০ হাজার টাকা কাগজপত্র ও অফিসে খরচের কথা বলে আর কোন টাকা নেই জানিয়ে দেন।
এ বিষয়ে কমিটির সেক্রেটারী অসুস্থ থাকায় তার বক্তব্য না পেলেও কোষাধ্যক্ষ অব: শিক্ষক আঃ জব্বার জানায়, জেলা পরিষদের ২লাখ টাকার কাজের টেন্ডার কাউন্সিলর ফারসু পেয়ে মসজিদ কমিটিকে কাজ চালিয়ে যেতে ও বিল পেয়ে টাকা তুলে দেয়ার আশ্বাস দেন।সে অনুযায়ী মসজিদ কমিটি মুসুল্লিদের দেয়া অনুদানসহ অভ্যন্তরীন টাকা দিয়ে নির্মান কাজ টাকা শেষ করে তার সাথে যোগাযোগ করলে সে ত দফায় ১লাখ ১০হাজার টাকা দেন। পরবর্তীতে মসজিদের মুসুল্লীদের কাছে সংস্কার কাজে খরচের হিসাব দেয়ার সময় বিষয়টি সকলে জানতে পারে।
আর মসজিদের ইমাম মাও: মাকসুদুর রহমান জানায়, এমপি মহাদোয়ের অনুদান হিসাবে বরাদ্দকৃত ২লাখ টাকা থেকে শুনেছি কাউন্সিলর ফারসু ৯০হাজার টাকা দেয়নি, কিন্তু কেনো কি কারনে সেটা সভাপতি-সেক্রেটারীসহ কমিটির লোকেরা বলতে পারবে।
এদিকে মসজিদের উন্নয়নে ৯০হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এলাকাবাসী নাম দিয়ে কাউন্সিলর ফারসুর বিরুদ্ধে একটি লিফলেট বিতরন করা হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচারের জন্য আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর শাহআলম ফারসু খান জানায়, প্রায় দুই/তিন বছর আগে জেলা পরিষদের টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পাই। সিডিউলের কোটেশন অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিল উত্তোলন করি। যার চুরান্ত বিল উত্তোলনের পূর্বে নিয়মানুযায়ী মসজিদ কমিটির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র ও কাজ শেষে সাইডের ছবিসহ জমা দিয়ে ২/৩ বছর পূর্বে চুরান্ত বিল নিয়েছি। আসলে এলাকার একটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মহল আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য ও এলাকাবাসীকে আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত করারে জন্য মনগড়া বানোয়াট কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন